কলকাতা : তদন্তে আরও গতি বাড়াতে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে ইডির (Enforcement Directorate) আরও আধিকারিকদের। মঙ্গলবার রাতেই দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন ২০ জন ইডি আধিকারিক। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই ইডির আরও তদন্তকারী আধিকারিকরা দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছাবেন। জানা গিয়েছে, আর্থিক লেনদেন ও আর্থিক তছরূপের যে অভিযোগ উঠছে, তার তদন্ত প্রক্রিয়ায় গতি বাড়াতে আরও বড় টিম তৈরি করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই কারণেই দিল্লি থেকে আরও ইডি গোয়েন্দাদের কলকাতায় পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র মারফত খবর।
রাজ্যে একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরু পাচার কাণ্ড, কয়লা পাচার কাণ্ডের মতো গুরুতর অভিযোগে বেশ অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক তাবড় নেতা। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেল হেফাজতে। গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলকেও এদিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গরুপাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত এনামূল হককে আগেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। শোনা যাচ্ছে, এবার অনুব্রত মণ্ডলকেও নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
মঙ্গলবার রাতে ইডির ২০ জন আধিকারিক কলকাতায় আসার পর বুধবার দুপুরেই ইডির সব আধিকারিককে নিয়ে একটি বৈঠকের কথা রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর। আগামী দিনে তদন্ত প্রক্রিয়া কোন পথে এগোবে, সেই বিষয়টি নিয়েই এদিনের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার কাণ্ডের মতো অভিযোগগুলির ক্ষেত্রে সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট উভয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই ময়দানে নেমেছে। ইডি মূলত কোনও দুর্নীতির অভিযোগে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়গুলির তদন্ত করে। সেই সূত্র ধরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকার পাহাড় উদ্ধার করেছে ইডি। সূত্রের খবর, এবার অনুব্রত মণ্ডলকেও নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় ইডি।