কলকাতা: বকেয়া ভাতা প্রদান, স্থায়ী কর্মীর স্বীকৃতি সহ একাধিক দাবিকে সামনে রেখে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেমেছেন আশাকর্মীরা (Asha Workers)। যা নিয়েই বর্তমানে জোরদার চর্চা চলছে রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে। একাধিক জায়গায় পথ অবরোধও করতে দেখা যায় আশাকর্মীদের। রাস্তার উপর বসে পড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন প্রতিবাদীরা। তাঁদের সরকারি কর্মী (Government Workers) হিসাবে নিয়োগপত্র দিতে হবে, উৎসাহ ভাতার বদলে সরকারি নিয়মেই দিতে হবে বেতন। সাফ দাবি আশাকর্মীদের। সেই সঙ্গে সরকারি নিয়মে বেতন কাঠামো তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি গত এক বছরে ইন্সেন্টিভের টাকা ভাগে ভাগে কেন পাঠানো হচ্ছে সেই প্রশ্নও এদিন তুলেছেন আশাকর্মীরা।
জেলায় জেলায় আন্দোলন
দাবি আদায়ে এদিন রাজ্যের সর্বত্রই এদিন পথে নামতে দেখা যায় আশাকর্মীদের। পথে নামতে দেখা যায় ক্যানিং ১ ব্লকের ২২৯ জন আশাকর্মীদের। ৮ দফা দাবি নিয়ে এদিন তাঁরা জড়ো হন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। দীর্ঘ প্রায় ২ ঘন্টা ধরে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের অতিরিক্ত ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারীকের অফিসের সামনে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। ক্যানিং-বারুইপুর রোড আটকেও চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। অন্যদিকে বিক্ষোভের আঁচ দেখা যায় নদিয়াতেও। বুধবার নাজিরপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জমায়েতের ডাক দেন জেলার আশাকর্মীরা। তেহট্ট-১ ব্লকের ২৭টা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রায় ২৫০ জন আশা কর্মী এদিন কর্মবিরতিতে সামিল হন।
একইসঙ্গে আন্দোলনে সামিল হন পুরুলিয়ার আশাকর্মীরাও। পুুরুলিয়ার ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন আশাকর্মীরা। দাবি পূরণ না হলে ধর্মঘটেরও হুমকি দেন আন্দোলনকারীরা। এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকেই ২১ হাজার টাকা মাসিক বেতনেরও দাবি তোলা হয় প্রতিবাদীদের তরফে। একইসঙ্গে পেনশন ও পিএফের টাকা দেওয়ারও দাবি ওঠে। একইসঙ্গে গোঘাট ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান আশাকর্মীরা। ২১ হাজারের বেতনের পাশাপাশি স্থায়ী সরকারি চাকরির দাবিও ওঠে।
অন্যদিকে আঠারো দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের আশাকর্মীরা। একদিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়ে ব্লকের ৩৪ টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ১৩৯ জন আশাকর্মী এদিন কাটোয়ার শ্রীখণ্ড ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জড়ো হন। চলতে থাকে স্লোগানিং। এদিকে স্থায়ী চাকরি, বেতন বৃদ্ধি হয় একাধিক দাবিতে বিগত কয়েক মাসে বারবারই সরব হতে দেখা গিয়েছে আশাকর্মীদের। এবার রাজ্যজুড়ে একযোগে কর্মবিরতির ডাক দিয়ে আন্দোলন যে সরকারের অস্বস্তির কারণ হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।