কলকাতা : ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে বিশেষজ্ঞদের। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, জ্বর সেরে যাওয়ার পরও শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও লাভ হচ্ছে না। স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভার বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার নড়েচড়ে বসল নবান্ন।
আগামী সোমবার, ২১ নভেম্বর রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগে দফায় দফায় বৈঠকে বসতে চলেছেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের আগে পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
ডেঙ্গিতে এত মৃত্যু কেন, সেটাই মূলত খতিয়ে দেখতে চায় স্বাস্থ্য দফতর। কারণ জানতে তিনটি পর্যায়ে বৈঠকে বসবেন স্বাস্থ্য সচিব। বুধবার মেডিক্যাল কলেজগুলির অধ্যক্ষ, এমএসভিপি, সিএমওএইচদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করবেন বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার মেডিসিন বিভাগ, শিশুরোগ চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। মৃত্যুর কারণ কী, তা নিয়ে মতামত দেবেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার উপায় জানতে তৎপর প্রশাসন। আর শুক্রবার বৈঠক হবে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে।
তবে বিরোধীরা যতই প্রশ্ন তুলুক, রাজ্য প্রশাসনের ব্যাখ্যা, মশার প্রকোপ বাড়ার জন্য মানুষের অসচেতনতাই দায়ী। মেয়র ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছেন, শুধু কলকাতা বা রাজ্যে নয়, সারা দেশে, এমনকী বিশ্বের অন্য়ান্য দেশেও এবছর ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়েছে। কার্যত মহামারীর আকার নিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ডেঙ্গি পরিস্থিতি স্থিতিশীল। উদ্বেগের কারণ নেই। তাপমাত্রা কমলে ডেঙ্গির প্রবণতাও কমবে বলে মনে মন্তব্য করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ডেঙ্গিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত বা মৃতের সংখ্যার সঠিক হিসেব দিচ্ছে না রাজ্য। যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছে রাজ্য সরকার।