Narendrapur Ramakrishna Mission: হোমসেন্টারে পরীক্ষা! মেধাতালিকায় সেইজন্যই কি পিছিয়ে পড়ল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jun 10, 2022 | 2:10 PM

HS Exam: "যখন আবার পুরনো ব্যবস্থায় আমরা ফিরে যাব, নিশ্চয়ই মূল্যায়ন বা তুলনা, সেই মতো করে আমাদের করতে হবে।" মন্তব্য নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশনান্দজির।

Narendrapur Ramakrishna Mission: হোমসেন্টারে পরীক্ষা! মেধাতালিকায় সেইজন্যই কি পিছিয়ে পড়ল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন?
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

Follow Us

কলকাতা : প্রকাশিত হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। মেধা তালিকায় প্রথম দশ জনের মধ্যে রয়েছে ২৭২ জনের নাম। তাতে ২০২২ সালের মেধা তালিকায় মাত্র তিন জন স্থান পেয়েছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয় থেকে। সপ্তম স্থানে রয়েছে নরেন্দ্রপুরের অর্চিস্মান মান্না। অষ্টম স্থানে রয়েছে মনোময় কবিরাজ এবং নবম স্থানে রয়েছে পৃথ্বীর সেন। শিক্ষা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি ক্রমাগত মেধা তালিকা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের নাম? জেলার পড়ুয়াদের সাফল্যে খুশি নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশনান্দজি। তবে মেধাতালিকায় নাম না থাকায় নরেন্দ্রপুরের পড়ুয়াদের হীনমন্যতার কোনও কারণ নেই বলেই মত তাঁর। এই বিষয়ে নরেন্দ্রপুরের স্বামীজির বক্তব্য, “যেহেতু কোভিড পরিস্থিতিতে বিধি মেনে হোম সেন্টারে পরীক্ষা নিতে হয়েছে, সেই কারণে এই বিষয়ে হয়ত খুব একটা বক্তব্য থাকবে না। যখন আবার পুরনো ব্যবস্থায় আমরা ফিরে যাব, নিশ্চয়ই মূল্যায়ন বা তুলনা, সেই মতো করে আমাদের করতে হবে।” পুরনো পদ্ধতিতে পরীক্ষা হলে মূল্যায়ন হবে। আমাদের ছেলেরা সৎ উপায়ে পরীক্ষা দিয়েছে।

তিনি ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিকের মেধা তালিকা প্রসঙ্গে বলেন, “যদি আমরা পুরনো রেজাল্ট দেখি, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের ছাত্ররা মেধাতালিকায় অনেকেই ছিল। এই বছরও তিন জন আছে। তবে পরীক্ষা ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন হয়েছে। ২০২১ সালে পরীক্ষা ব্যবস্থায়, মূল্যায়নের কিছু পরিবর্তন হয়েছিল। ২০২০ সালে যদিও বেশ কিছু পরীক্ষা হয়েছিল, তার উপর ভিত্তি করেই মূল্যায়ন হয়েছিল। ২০২২ সালের চিত্র কিছুটা অন্যরকম। পরীক্ষা ব্যবস্থা ভালভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তা হয়েছে হোম সেন্টারে। আমাদের ছাত্ররা সৎ উপায়ে পরীক্ষা দিয়েই এই সাফল্য অর্জন করেছে। এর জন্য আমরা সকলেই খুশি। ২৭২ জন মেধা তালিকায় নিশ্চয়ই থাকতে পারেন। এটা নিশ্চয়ই আনন্দের। তবে আমাদের ছাত্ররা প্রত্যেকই সৎ উপায়ে পরীক্ষা দিয়ে সাফল্য এসেছে, এটা আমাদের জন্য আনন্দের।”

২০১৫ সালের উচ্চমাধ্যমিকের মেধা তালিকায় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয় থেকে ২৩ জনের নাম ছিল। ২০২০ সালে মেধা তালিকাতেও ১৮ জনের নাম ছিল বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্রপুরের স্বামীজি। অর্থাৎ, পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সামনা সামনি মিশনের শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ না করলেও, সামগ্রিক ব্যবস্থা নিয়ে কি তাহলে কিছুটা হতাশ তাঁরা? নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কথায়, “আমাদের ছেলেরা সৎ উপায়ে পরীক্ষা দিয়েছে” মন্তব্য থেকে সেই প্রশ্ন কিন্তু ইতিমধ্যেই উঁকি মারতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।

Next Article