Fraud Case: চিনার পার্কের ভুয়ো কল সেন্টার থেকে ফোন যেত জার্মানিতেও, টেক সাপোর্টের নাম করে বিদেশেও প্রতারণার জাল

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jun 24, 2022 | 4:12 PM

Fake Call Center in Kolkata: পুলিশের কাছে খবর যায়, ইন্ট্রাক্সিস ইনফো এলএলসি নামের এক সংস্থা চিনার পার্ক এলাকায় একটি অফিস খুলে বিদেশি নাগরিকদের থেকে বিদেশি মুদ্রায় টাকা হাতিয়ে প্রতারণা করছে। বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় গতকাল রাতে ওই অফিসে হানা দেয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।

Fraud Case: চিনার পার্কের ভুয়ো কল সেন্টার থেকে ফোন যেত জার্মানিতেও, টেক সাপোর্টের নাম করে বিদেশেও প্রতারণার জাল
(প্রতীকী ছবি)

Follow Us

কলকাতা : টেক সাপোর্টের নাম করে জার্মানির বাসিন্দাদের বিদেশি মুদ্রায় লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে চার জনকে। বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় কলকাতার চিনার পার্ক এলাকা হানা দিয়ে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তে নেমে জার্মানির ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির সঙ্গেও যোগাযোগ করছে বিধাননগর পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৩ জুন বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানানো হয় এক বহুজাতিক সংস্থার তরফে। জানানো হয়, সেই সংস্থার নাম করে ভুয়ো কল সেন্টারের মাধ্যমে বিদেশি নাগরিকদের টেক সাপোর্টের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করা হচ্ছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। জানতে পারে, ইন্ট্রাক্সিস ইনফো এলএলসি নামের এক সংস্থা চিনার পার্ক এলাকায় একটি অফিস খুলে বিদেশি নাগরিকদের থেকে বিদেশি মুদ্রায় টাকা হাতিয়ে প্রতারণা করছে। এরপরই বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় গতকাল রাতে ওই অফিসে হানা দেয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সেখান থেকে ওই সংস্থার দু’জন ডিরেক্টর সহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের অফিস থেকে ৩৫ টি ডেবিট কার্ড, ২৫টিরও বেশি কম্পিউটার, ল্যাপটপ, বেশকিছু মোবাইল এবং ল্যান্ড ফোন উদ্ধার করেছে। এছাড়াও চেক বুক, প্যান কার্ড, কাস্টমার ডেটা সহ একাধিক নথিও হাতে আসে পুলিশের।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৯ সাল থেকে এই সংস্থা যে বিদেশি নাগরিকদের প্রতারণা করত। তার প্রমাণ স্বরূপ প্রতারিতদের মেইল কমিউনিকেশন উদ্ধার হয়েছে এই সংস্থার মেইল অ্যাকাউন্ট থেকে। আজ অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। এই চক্রের সঙ্গে আর কাদের যোগ রয়েছে, সেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে খবর, এই সংস্থার বিরুদ্ধে জার্মানিতে ল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তদন্ত শুরু করেছে। সেই সূত্র ধরে জার্মান পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ স্থাপন করছে বিধাননগর পুলিশ।

Next Article