কলকাতা: একটা সময় ছিল যখন পয়লা বৈশাখের সকালে হালকা হাওয়া গায়ে মেখে দিন ও বছর শুরু করত বাঙালি। দিন বা বছর এখনও শুরু হয়, তবে হালকা শব্দটা একটু বদলে গেছে, হালকা পরিণত হয়েছে হলকায়। বাংলা বছরের প্রথম দিন থেকেই নাজেহাল জনতা। কারণ একটাই, গরম। যে সে গরম নয়, একেবারে রেকর্ড ব্রেকিং গরম। বাংলা এতটা এগিয়ে, যে পিছিয়ে পড়ছে মরুরাজ্য রাজস্থান। রাজধানী দিল্লিও পেছনের বেঞ্চে বসে আছে। সোজা কথায় এগিয়ে বাংলা। রাজ্যের মানুষ সব দিক থেকে এগিয়ে থাকতে চান, কিন্তু গরমে ফার্স্ট বয় হওয়ার ইচ্ছে বাঙালির কোনও দিন ছিল না। কিন্তু ইচ্ছে না থাকলেও উপায় নেই। তাই এবার বাংলার সঙ্গে জুড়ে গেছে গরমে ফার্স্ট বয় তকমা। বাঁকুড়া থেকে বালুরঘাট, বুধবার ফের পুড়ল গোটা বাংলা।
বুধবার পানাগড়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাঁকুড়ার ৪২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ব্যারাকপুরের ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মুর্শিদাবাদের ৪১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পিছিয়ে নেই মেদিনীপুরও। মেদিনীপুরের সর্বোচ্চ তাপামাত্রা দাড়িয়েছিল ৪১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সিউড়িতে ৪১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্ধমানে ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুরুলিয়ায় ৪০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলে ৪০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দমদম ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ক্যানিং ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সল্টলেক ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যদিকে চল্লিশের চৌকাঠ ছুঁয়েছে ঝাড়গ্রামও। সেখানে এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বালুরঘাটেও ৪০। মালদহে ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীনিকেতনে ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মার্চের হালকা হাওয়া দেখে অনকেরই মনে হয়েছিল, এবার গরমটা একটু কম হলেও হতে পারে। কিন্তু হাওয়া অফিস প্রথম থেকেই সতর্কবার্তা দিয়ে আসছিল। মার্চ দেখে কেউ যেন ভুল না বোঝেন। মাঝ এপ্রিল আসতে না আসতেই ঘুম ভেঙে গেছে। বলা ভালো, ঘুম উড়ে গেছে। কারণ গরম। যে সে গরম নয়, রেকর্ড ব্রেকিং গরম। তা আরও একবার পরিষ্কার হল বুধবারের ছবিতেই।