শুধু নন্দীগ্রাম নয়, ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা পাঁচ তৃণমূল প্রার্থীর
নন্দীগ্রাম কেন্দ্র ছাড়াও আর বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের প্রার্থীরা মামলা করেছেন।
কলকাতা: একুশের হাইভোল্টেজ নির্বাচনে জল্পনা যাই থাকুক না কেন, ফলাফলে ২০০-র বেশি আসন পেয়েছে তৃণমূল। তৃতীয়বারের জন্য মসনদে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি যখন হারের কারণ খুঁজতে মরিয়া, তখন ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন একের পর এক পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী। প্রথমেই সেই তালিকায় নন্দীগ্রামের প্রার্থী তথা তৃণমূল নেত্রীর নাম উঠে আসে। জানা গিয়েছে, মমতা ছাড়াও এই একই কারণে মামলা করেছেন আরও চার প্রার্থী।
মোট ৫ বিধানসভার ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছে হাইকোর্টে। এর মধ্যে রয়েছে, নন্দীগ্রাম, বলরামপুর, গোঘাট, ময়না ও বনগাঁ দক্ষিণ। আজ নন্দীগ্রাম ছাড়াও বলরামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল সংক্রান্ত মামলাও ছিল হাইকোর্টে। বলরামপুর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শান্তিরাম মাহাত। আজ সেই মামলা গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। বিধানসভায় সমস্ত নির্বাচনী নথি নষ্ট করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্ত। সব পক্ষকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই এ্ই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
পাঁচ কেন্দ্রের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৫৬ ভোটে পরাজিত হন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী র কাছে। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের আলোরানী সরকার ২০০৪ ভোটে পরাজিত হন বিজেপির স্বপন মজুমদারের কাছে। পুরুলিয়া বলরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো পরাজিত হন ৪২৩ ভোটে বিজেপির বানেশ্বর মাহাতোর কাছে, হুগলির গোঘাটে তৃণমূল প্রার্থী মানস মজুমদার ৪১৪৭ ভোটে পরাজিত হন বিজেপির বিশ্বনাথ কারকের কাছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বিজেপি প্রার্থী অশোক দিন্দা ১২৬০ ভোটে পরাজিত করেন সংগ্রাম কুমার দোলাইকে।
আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের মঞ্চে ইনি কে? নন্দীগ্রাম মামলার বিচারপতি কৌশিক চন্দকে নিয়ে উঠল প্রশ্ন
নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আজ, শুক্রবার সেই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হলেও এ দিন পিছিয়ে গিয়েছে সেই শুনানি। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকতে পারবেন কি না, সে্ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। যেহেতু এটি একটু গুরুত্বপূর্ণ মামলা, তাই শুরুতেই এই মামলা শোনার জন্য আগামী সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় সাধারণত মামলাকারীকে উপস্থিত থাকতে হয়। এ দিন তাই বিচারপতি কৌশিক চন্দ বলেন, ‘তিনি কি উপস্থিত থাকতে পারবেন?’ মমতার পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ‘উনি যাতে ভার্চুয়ালি হাজির থাকতে পারেন, সেটা দেখা হবে।’