কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘টুম্পা সোনা’য় শাস্তি পাওয়া ৫ উদ্যোক্তা আদালতের পথে

সৈকত দাস | Edited By: arunava roy

Feb 22, 2021 | 8:19 PM

বিজেপির হয়ে কাজ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পাঁচ সদস্যের

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘টুম্পা সোনা’য় শাস্তি পাওয়া ৫ উদ্যোক্তা আদালতের পথে
সরস্বতী পুজোর দিন কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাস

Follow Us

কলকাতা: ক্যাম্পাসে সরস্বতী পুজোয় ‘টুম্পা সোনা’ (Tumpa Sona) গান বাজানোর জেরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (University of Calcutta)। আগামী দু’বছরের জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যাচ্ছেন বহিষ্কৃত ছাত্ররা। তাঁদের অভিযোগ, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের আরও অভিযোগ, উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী (Sonali Chakrabarty) বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। তাঁদের দাবি, তৃণমূল আমলে উপাচার্যের পদে আসীন হওয়া সোনালি দেবী এখন বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন।

সরস্বতী পুজোয় চটুল নাচগানের অভিযোগে যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন শীর্ষ নেতা মনিশঙ্কর মণ্ডলের। একই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ রাজা মেহেদি, দেবর্ষি রায়, তীর্থপ্রতিম সাহা ও রনি ঘোষের ক্ষেত্রেও। জানা গিয়েছে, তদন্ত কমিটির প্রস্তাব অনুসারে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সিন্ডিকেট। কিন্তু বহিষ্কৃতদের অভিযোগ, তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘টু্ম্পা সোনা’ গানের জের, কড়া শাস্তির মুখে ৫ উদ্যোক্তা 

বাসন্তী শাড়ি, হলুদ পাঞ্জাবির ভিড়– এ সবের পরেও সরস্বতী পুজোর দিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে কিন্তু মূল আকর্ষণের বিষয় হয়ে উঠেছিল ‘টুম্পা সোনা’ গান। ক্যাম্পাসের মধ্যেই এই গান বাজানো হয়, সঙ্গে চলে কোমর দুলিয়ে দেদার নাচ। পুজোর পরের দিন সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে নেট দুনিয়ায়। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী। তিনি দাবি করেছিলেন, যা হয়েছে তা অনুমতি ছাড়াই। ঘটনার নিন্দায় সরব হন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। তারপর সরস্বতীর পুজোর পাঁচ উদ্যোক্তাকে চিহ্নিত করে কমিটি। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মনিশঙ্কর মন্ডল। তিনি বর্তমানে সংস্কৃত কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান।

Next Article