কলকাতা: আর মাত্র তিন বছরের অপেক্ষা। তারপরেই ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি মেট্রো রেক পেতে চলেছে কলকাতা (Kolkata Metro)। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে কলকাতা পেতে চলেছে স্বদেশী প্রযুক্তিতে তৈরি মেট্রো রেক। তিলোত্তমার বুক চিরে চলবে এই মেট্রো রেকগুলি। সূত্রের খবর, মেট্রো পরিবেষাকে আমূল পরিবর্তন করার জন্য ইতিমধ্যেই কলকাতাকে ৬০০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে রেল মন্ত্রক। নতুন ৮৫ টি রেক কলকাতায় আসছে। যেগুলি বর্তমান রেকের থেকে আরও অনেক বেশি আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হবে বলে খবর। বর্তমানে তিনটি করিডর মিলিয়ে ৪৫ টি মেট্রো রেক চলে। সেটা বেড়ে ১৩১ টি রেক হতে চলেছে।
উত্তর-দক্ষিণ লাইন অর্থাৎ কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর করিডর, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো লাইন অর্থাৎ সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান মেট্রো করিডর, জোকা থেকে এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডর, কবি সুভাষ থেকে কলকাতা বিমানবন্দর করিডর, এই চারটি লাইনের মেট্রোরেককে মূলত বদল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
জেনে নিন কী কী বৈশিষ্ট রয়েছে এই নয়া মেট্রো রেকগুলিতে
১) বেঙ্গালুরুর ইন্টিগ্রেটেড কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি হয়েছে রেকগুলি।
২) বাঁকুড়ার টেরাকোটার বিভিন্ন নকশায় ছাপ রয়েছে এই মেট্রোর বগি গুলিতে।
৩) যেহেতু কলকাতা বিমানবন্দর গামী যাত্রীদের জন্য নয়া মেট্রো পরিষেবা শুরু করা হচ্ছে, তাই এই রেক গুলিতে লাগেজ রাখার জন্য বড় বড় জায়গা রাখা হচ্ছে।
৪) বগির ভিতরে থাকবে মোবাইল চার্জ দেওয়ার পয়েন্ট।
৫) ইউ এস বি কেবল লাগানোর জন্য থাকছে বগীর ভিতরে দুদিকেই পর্যাপ্ত পয়েন্ট।
৬) এক একটি বগিতে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা এবং বসার ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা হয়েছে এই রেকগুলিতে।
৭) যেকোনো আপৎকালীন সময় যাত্রীরা সরাসরি চালকের সঙ্গে বগির ভিতর থাকা নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে কথা বলতে পারবেন।
৮) লেকের বগি গুলি অনেক বেশি অত্যাধুনিক এবং মজবুত।
৯) দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়ায় নিরাপত্তা এবং আধুনিকতায় জোর দেওয়া হয়েছে।
১০) বগিগুলির ফ্লোর করা হচ্ছে অ্যান্টি স্কিড প্রযুক্তির।
১১) প্ল্যাটফর্ম থেকে যদি রেকের সামনে কেউ ঝাঁপ দেন, আত্মহত্যার জন্য তাহলে যাতে দ্রুত সংশ্লিষ্ট মেট্রো চালক নিজের গাড়িটি থামাতে পারেন তার জন্য অটোমেটিক ব্রেক প্রযুক্তি থাকছে।
১১) প্রত্যেকটি বগিতে থাকছে পর্যাপ্ত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।
১২) থাকছে অত্যাধুনিক পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা।