কলকাতা: সকাল থেকেই নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টে মানিকের আবেদনের শুনানিতে। তবে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মোড় ঘুরিয়ে দেয়। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে মানিকের নাম যখন ক্রমশ প্রকট হচ্ছে, তখন সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সময়ও বেঁধে দিলেন তিনি। রাত ৮ টার মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। তারপর থেকেই টানটান উত্তেজনা? নিজাম প্যালেসে যাবেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি? একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল। কিন্তু ঘড়িতে ৮ টার কাঁটা পেরিয়ে গেল। দেখা পাওয়া গেল না মানিকের।
হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, রাত ৮ টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে। হাজিরা না দিলে বা তদন্তে সহযোগিতা না করলে প্রয়োজনে গ্রেফতারও করা হতে পারে মানিককে। মানিকের বিপদ ঘনিয়ে এল বলে মনে করলেন অনেকেই।
হাইকোর্ট অন্য মামলায় হাজিরার নির্দেশ দিলেও, মঙ্গলবার যে তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না, তা নিশ্চিত হয়ে যায় কিছুক্ষণের মধ্যেই। সুপ্রিম কোর্টে মানিকের করা আবেদনের শুনানিতে তাঁকে একদিনের রক্ষাকবচ দেওয়া হয়। অর্থাৎ পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানানো হয়।
এতকিছুর পরও প্রশ্ন রয়ে গেল একটাই। কোথায় তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য? সন্ধ্যা নামতেই তাঁর যাদবপুরের বাড়িতে হাজির হল পুলিশ। কিছুদিন আগে যখন সিবিআই দাবি করেছিল, মানিককে পাওয়া যাচ্ছে না, তখন এই বাড়ির বারান্দায় বেরিয়েই নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছিলেন মানিক। কিন্তু এদিন দেখা মিলল না তাঁর।
হাইকোর্ট এসিপিকে নির্দেশ দিয়েছিল, মানিকের হাজিরা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে মানিকের বাড়িতে গিয়েও যখন তাঁর দেখা পাওয়া গেল না, তখন প্রোটোকল মেনেই পুলিশ মানিকের বিরুদ্ধে একটি জিডি করে যাদবপুর থানায়। আর ৮ টা পেরিয়ে গেলেও নিজাম প্যালেসের ধারে-কাছে দেখা গেল না মানিক ভট্টাচার্যকে।
সূত্রের খবর, তিনি আপাতত কলকাতায় নেই। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ফের তাঁর আবেদনের শুনানি রয়েছে। তবে এ দিন যে তিনি হাজিরা এড়িয়ে গেলেন, তারপর তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেই প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।.