কলকাতা: উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে মাঝে মধ্যেই চোরাশিকারিদের কাণ্ডকারখানার কথা শোনা যায়। বিশেষ করে ডুয়ার্সের জঙ্গলের দিকে। কিন্তু এবার কি চোরাশিকারিদের বাড়বাড়ন্ত শহর কলকাতাতেও শুরু হয়ে গেল? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করে দিয়েছে। খাস কলকাতায় বন দফতরের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে প্রায় হাজারটি হরিণের শিং। কলকাতায় ফিয়ার্স লেনের কাছে একটি গোডাউনে বিশেষ অভিযানে ৯৪৫টি হরিণের শিং উদ্ধার করেছেন বন দফতরের অফিসাররা। ঘটনায় ইতিমধ্য়েই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে বড় কোন চোরাশিকারের চক্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন বন দফতরের অফিসাররা। ধৃত ওই ব্যক্তিকে এদিন আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, কিছুদিন আগে জিএসটি ডিপার্টমেন্টের তরফে ওই এলাকায় অন্য একটি ঘটনায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। সেই সময়ে জিএসটি দফতরের অফিসারদের নজরে প্রথমে আসে এই হরিণের শিংগুলি। একটি গোডাউনের মধ্যে স্তূপীকৃত আকারে রাখা ছিল এক গাদা হরিণের শিং। বিষয়টি নজরে আসার পর সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন বন দফতরকে। জিএসটি দফতরের অফিসারদের থেকে পাওয়া ওই তথ্যের ভিত্তিতে এদিন ফিয়ার্স লেনে
এদিনের অভিযান প্রসঙ্গে বন দফতরের অফিসার কল্যাণ রাই জানান, ‘আমরা ভাবিনি এতগুলি হরিণের শিং ওখানে পাওয়া যাবে। ওখানে সম্বর হরিণ ও স্পটেড হরিণের শিং প্রচুর পরিমাণে পাওয়া গিয়েছে। প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি। ৯৪৫টি শিং আমরা উদ্ধার করেছি।’ গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর। এই বিপুল পরিমাণ হরিণের শিং কোথায় বিক্রি করার ছক ছিল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কল্যাণ রাই জানাচ্ছেন, ৫-৬টি শিং বা ১০টি শিং হলে বিষয়টি অন্যরকম হত। কিন্তু যে পরিমাণে উদ্ধার হয়েছে, তা অনেকটা। ফলে এই বিপুল পরিমাণ হরিণের শিং উদ্ধারের নেপথ্যে কোনও বড়সড় চক্রান্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তিনি।