কলকাতা: বিবাহিত হলেও হোটেলে আরেক মহিলাকে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। সেই ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যুতে উঠে আসছে সেই মহিলার ভূমিকা। নিউটাউনে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। পরিবার ব্যবসায়ীর সঙ্গিনীর দিকেই আঙুল তুলছেন। সম্পত্তি টাকা পয়সার জেরেই ওই ব্যবসায়ীকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। মৃত ব্যক্তির নাম আব্দুল ঢালি (৪০)। নিউটাউনের থাকদারির বাসিন্দা ওই ব্য়বসায়ী।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউটাউনের ৭ নম্বর জলের ট্যাঙ্কের কাছে একটি খাবারের হোটেল চালাতেন। সোমবার ভোরে সেই হোটেলের পাশের ঘর থেকে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। হোটেলেরই এক কর্মী সকালে মালিককে ডাকতে যান। তখনই তাঁকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি বাকিদের খবর দেন। পরিবারের লোকদের খবর দেওয়া হলে তাঁরা এসে দেখতে পান মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন আবদুল।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, গলায় একটা দাগ, বুকে ধুলো লেগে আছে এবং তাঁর পাশে একটি বালিশ পড়ে রয়েছে। ঘরের লক্ষাধিক টাকার জিনিস উধাও ছিল বলে পরিবারের দাবি।
আবদুল বিবাহিত হলেও গত ১৫ বছর ধরে একটি মহিলাকে হোটেলে নিজের সঙ্গে রাখতেন বলে পরিবারের দাবি। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ওই মহিলার আগেও লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না লুঠ করে পালিয়ে যায় বলেও জানায় মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
ফের শনিবার সেই মহিলাকে ফিরিয়ে আনেন আবদুল। তবে সোমবার সকালে মৃত দেহ পড়ে থাকলেও সেই মহিলা পালিয়ে যান বলে পরিবারের দাবি।
পরিবারের অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ওই মহিলা সম্পত্তির লোভে আবদুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নগদ টাকা-সহ লক্ষাধিক টাকার সম্পত্তি লুঠ করে পালিয়ে গিয়েছে। দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্যে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নতদন্তের রিপোর্টের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ।