কলকাতা: নির্মীয়মান ভবনের নীচে উপুড় হয়ে পড়েছিল দেহটা। রাত তখন আড়াইটে। বছর বারোর বাচ্চাটার শরীরটার ওপর নজর পড়েছিল ওই কিশোরেরই দাদার। তাঁর চিৎকারেই টনক নড়ে। গার্ডেনরিচের গুলাম আব্বাস লেনের নির্মীয়মান ভবনের নীচ থেকে উদ্ধার হয় ষষ্ঠ শ্রেণির এক কিশোরের দেহ। মৃত কিশোরের নাম শেখ আয়ান (১২)।
পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, শেখ আয়ানের বাবার একটি দোকান রয়েছে। সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল আয়ান। তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। সারাদিন পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন। গার্ডেনরিচ থানায় যান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না হওয়ায় মিসিং ডায়েরি করা যায়নি।
রাত বাড়তেই বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ শুরু করেন বাড়ির লোকেরা। কিন্তু ছেলেটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাতভর খুঁজছিলেন তাঁরা। তারপর রাত ২.৩০ সময় আয়ানকে একটি নির্মীয়মান ভবনের নীচ থেকে খুঁজে পাওয়া যায়। পরিবারের একটা তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য, যে এলাকা থেকে রাত ২.৩০ টে নাগাদ আয়ানের দেহ উদ্ধার হয়, রাত সাড়ে বারোটাতেও ওই এলাকা ঘুরে দেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সে সময় সেখানে তাঁরা দেহ পড়ে থাকতে দেখেননি। অর্থাৎ সাড়ে বারোটা থেকে রাত আড়াইটের মধ্যেই ঘটনাটি ঘটেছে। পরিবারের সদস্যদের পরিবারের অভিযোগ, কেউ অন্যত্র খুন করে ওখানে ফেলে রেখে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হোমিসাইড ফরেন্সিক টিম।
তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, বহুতল থেকে ঠেলে কিশোরকে নীচে ফেলে দেওয়া হতে পারে। কিশোরের গায়ে একাধিক ক্ষত ছিল। তদন্তকারীরা ওপর থেকে একটি বালিশ নীচে ফেলে দেখেন। তাঁরা আসলে বুঝতে চেয়েছিলেন, যেখান থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে, ওপর থেকে কেউ পড়লে বা ফেলে দিলে সেই এলাকাতেই শরীরটা পড়বে কিনা! পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ওই কিশোরকে অন্যত্র খুন করে দেহ এখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খুনের মোটিভ এখনও স্পষ্ট নয় পরিবারের সদস্যদের কাছেও।