KMC: ‘ম্যাডাম আমাকে ডেকেছিলেন’, তৃণমূলের মিছিলে না যাওয়ায় চাকরি ‘চুরি’ পুরকর্মীর?

KMC: শুধু সই জাল নয়, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের নির্দেশ না মানায় কাজ হারাতে হয়েছে বলেও উঠছে অভিযোগ। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুনমুন বন্দোপাধ্যায়।  ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বোরো-৪’র অধীনে স্বাস্থ্য বিভাগের ১০০ দিনের কর্মী ছিলেন। সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মীরা হাজরা। মুনমুনদেবীর অভিযোগ, কাউন্সিলর তাঁকে এক কর্মসূচিতে যেতে বলেছিলেন। তিনি রাজি হননি। এরপরই তাঁকে ডেকে বলা হয়, ১৫ দিন কাজ না করে বসে থাকতে। এরপরই তাঁর ভুয়ো ইস্তফার বিষয়টি সামনে আসে।

KMC: 'ম্যাডাম আমাকে ডেকেছিলেন', তৃণমূলের মিছিলে না যাওয়ায় চাকরি 'চুরি' পুরকর্মীর?
অভিযোগকারী মুনমুন বন্দ্যোপাধ্যায়।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2024 | 1:26 PM

কলকাতা: চাকরি চুরি নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন কলকাতা পুরনিগমের এক চুক্তিভিত্তিক কর্মী। তাঁর দাবি ছিল, সই জাল করে, জাল চিঠি পাঠিয়ে রাতারাতি তাঁকে কাজ থেকে সরানো হয়। কলকাতার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের চুক্তিভিত্তিক কর্মী মুনমুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রাজনীতির কোপে পড়েছেন তিনি। একই কথা মনে করছেন এই ওয়ার্ডের প্রাক্তন বাম কাউন্সিলর অজয় সাহাও।

শুধু সই জাল নয়, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের নির্দেশ না মানায় কাজ হারাতে হয়েছে বলেও উঠছে অভিযোগ। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুনমুন বন্দোপাধ্যায়।  ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বোরো-৪’র অধীনে স্বাস্থ্য বিভাগের ১০০ দিনের কর্মী ছিলেন। সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মীরা হাজরা। মুনমুনদেবীর অভিযোগ, কাউন্সিলর তাঁকে এক কর্মসূচিতে যেতে বলেছিলেন। তিনি রাজি হননি। এরপরই তাঁকে ডেকে বলা হয়, ১৫ দিন কাজ না করে বসে থাকতে। এরপরই তাঁর ভুয়ো ইস্তফার বিষয়টি সামনে আসে।

মুনমুনদেবী বলেন, “ম্যাডাম আমাকে ডেকেছিলেন। বললেন তুমি মিছিলে যাওনি কেন? আমি বললাম আমি গিয়েছিলাম, কিন্তু আপনাদের মিছিলে ঝান্ডা ছিল। সেই ঝান্ডা ধরে মিছিল করব না। কারণ আমার আদর্শ আলাদা। তখন বললেন ১৫ দিন বসে থাকে। সেই ১৫ দিন দেড় বছর হয়ে গেল। আমার নামে মিথ্যা সই করে এরপর শুনলাম ইস্তফা জমা দেওয়া হয়েছে।”

প্রাক্তন বাম কাউন্সিলর অজয় সাহা বলেন, “আমি যতদূর জানি উনি রিজাইন করেননি। এটা জোর করে করা হয়েছে, সই জাল করা হয়েছে। যে রাজ্যে হাজার হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি রাতারাতি চুরি হয়ে যায়। দাগি আসামির হয়ে সরকার সওয়াল করে সুপ্রিম কোর্ট অবধি পৌঁছয়। সেখানে একজন চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীর চাকরি চুরি হয়ে যাবে এটা তো স্বাভাবিক। আসলে ২১ নম্বর ওয়ার্ডে গা জোয়ারি করে জিতেছিল গত ভোটে। তারপর পুরকর্মীরা ছিলেন, তাদের বড় অংশকে বলা হয় আপনাদের মিছিলে যেতে হবে। যারা চায়নি যেতে, তাঁদের জোর করে সরিয়ে দিয়েছে।” তবে বর্তমান কাউন্সিলর মীরা হাজরাকে সকাল থেকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। কাউন্সিলরের অফিসে গিয়ে খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি তাঁকে।

২০২২ সালের ঘটনা। সে বছরই কাজ চলে যায় মুনমুনদেবীর। সে বছরই ১৪ জুলাই চিঠি দেন মেয়র, ডেপুটি মেয়রকে। যদিও ডেপুটি মেয়র জানিয়েছেন, “আমার চিঠি নিশ্চয়ই আমি ডিপার্টমেন্টকে ফরোয়ার্ড করে দিয়েছি। তারপরে কী হয়েছে, সেটা ডিপার্টমেন্ট বলতে পারবে। আমি বলতে পারব না। আমার কাছে কোনও ফাইল পড়ে থাকে না। আমাকে কোনও অভিযোগ করলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তকে পাঠিয়ে দিই।”