Calcutta High Court: ‘CESC-এর ১৮ কোটি টাকা তৃণমূলের পকেটে’, শোভনদেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংস্থার কর্মীর

Shrabanti Saha | Edited By: Avra Chattopadhyay

Apr 07, 2025 | 11:50 AM

Calcutta High Court: এরপর রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ওই মামলাকারী আদালতকে জানিয়েছেন, '২০২১ সালে সমবায়ের উন্নতির জন্য CESC-এর পক্ষ থেকে ১৮.৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু সেই বিপুল পরিমাণ অর্থ চলে যায় তৃণমূলের ফান্ডে। যার মূল কাণ্ডারি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।'

Calcutta High Court: CESC-এর ১৮ কোটি টাকা তৃণমূলের পকেটে, শোভনদেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংস্থার কর্মীর
প্রতীকী ছবি

Follow Us

কলকাতা: ১৪ বছর পর নির্বাচন। কিন্তু তারপরেও টানাপোড়েন যেন থামছে না। আগামী ১৭ই এপ্রিল রাজ্যের শতপ্রাচীন বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা CESC-এর আওতায় থাকা সমবায় ব্যাঙ্কে রয়েছে ভোটাভুটি। তার আগেই স্বচ্ছ ভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ ওই সংস্থারই এক কর্মী।

কী অভিযোগ সেই মামলাকারীর?

২০১১ সালের পর থেকে CESC-এর সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটে তালা পড়েছে। ২০১৩ সালে এই মর্মে রাজ্য সরকার পুরনো বোর্ড ভেঙে নমিনেশনের মাধ্যমে ডিরেক্টর নির্বাচিত করে। সেই বোর্ড এখনও চলছে। অবশেষে আগামী ১৭ তারিখ রয়েছে সমবায় নির্বাচন। কিন্তু তার আগে ওই মামলাকারীর দাবি, শিয়রে নির্বাচন সত্ত্বেও এখনও কোনও ড্রাফট ভোটার লিস্ট তৈরি হয়নি। ফলে কারা ভোটার সেটাই স্পষ্ট নয়। এমনকি, বারবার দাবির পরেও ভোটার লিস্ট প্রকাশ করতে দেওয়া হয়নি।

নির্বাচনের আগে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়েও ‘প্রভাব’ খাটানো হয়েছে বলে আদালতে অভিযোগ জানিয়েছেন সেই কর্মী। তাঁর দাবি, ‘গত ২১ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত ছিল মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা। কিন্তু ওই সময়কালে তৃণমূল ঘনিষ্ট ছাড়া কেউই মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি।’ অবশ্য তাঁর আরও দাবি, ‘হাতেগোনা কয়েকজন চুপিসারে মনোনয়ন জমা দিলেও, তাদের পরে রীতিমতো মারধর করা হয়।’

এরপর রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ওই মামলাকারী আদালতকে জানিয়েছেন, ‘২০২১ সালে সমবায়ের উন্নতির জন্য CESC-এর পক্ষ থেকে ১৮.৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু সেই বিপুল পরিমাণ অর্থ চলে যায় তৃণমূলের ফান্ডে। যার মূল কাণ্ডারি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।’ এই প্রসঙ্গ রাজ্যের মন্ত্রী জানাচ্ছেন, ‘এগুলো সব মিথ্য়া কথা। যে ইউনিয়ন একক শক্তিতে ৯৮ শতাংশ ভোট পায়, তাদের মারপিটের প্রয়োজন পড়ে না।’