Crime: ‘ছেলে চেয়েছিলাম তাই…’ হাসপাতালের বেডে একদিনের কন্যাসন্তানকে খুন করে নির্বিকার মা!
Mother kills daughter: মা চেয়েছিলেন প্রথম সন্তান হোক ছেলে। কিন্তু ইচ্ছেপূরণ হয়নি। তাই মাত্র একদিনের কন্যাসন্তানকে হাসপাতালের বেডেই বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছেন তিনি!
সায়ন্ত ভট্টাচার্য: মা চেয়েছিলেন প্রথম সন্তান হোক ছেলে। কিন্তু ইচ্ছেপূরণ হয়নি। তাই মাত্র একদিনের কন্যাসন্তানকে হাসপাতালের বেডেই বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছেন তিনি! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাচক্রে আজ লক্ষ্মীপুজো। শহর তথা রাজ্যজুড়ে বাড়িতে বাড়িতে মা লক্ষ্মীর আরাধনা চলছে।
জানা গিয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর কলকাতার একবালপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন জনৈক লাভলি সিং। মঙ্গলবারই এক ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল সে। কিন্তু এদিন কেবিনে গিয়ে নার্স দেখেন, সদ্যোজাত আর নড়াচড়া করছে না। শ্বাসপ্রশ্বাসও নেই। এদিকে পাশেই শুয়ে মা। তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি নীরব থাকেন বলে জানা গিয়েছে। এর পর পুলিশে খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, পরে মা নিজেই স্বীকার করে নেন তাঁর অপরাধের কথা। জানান, তিনিই নিজের একদিনের সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছেন। কারণ, এটা তাঁর প্রথম সন্তান। তিনি চেয়েছিলেন ছেলে হোক তাঁর। খোদ শহর কলকাতার বুকে এমন ঘটনায় স্তম্ভিত সবাই।
একবালপুর থানার নেতাজি সুভাষ নার্সিংহোম। এখানকার একটি কেবিনে বছর একুশের লাভলি সিং নামে ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ভর্তি হন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বন্দর থানার অন্তর্গত ইস্টার্ন বাউন্ডারি রাউন্ড এলাকার বাসিন্দা লাভলী দেবী গত মঙ্গলবার একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান প্রসব করেন। কোনও শারীরক অসুবিধা নেই মা ও সদ্যোজাত কন্যার।
এদিন সকালে একজন নার্স এসে প্রথম মৃত অবস্থায় দেখেন বাচ্চাটিকে বলে খবর। সদ্যোজাত সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল বলেই দাবি চিকিৎসকদের। ব্রেস্ট ফিডিংও স্বাভাবিক ছিল তার। এদিন সকালে যখন হাসপাতালে চিকিৎসক এবং আয়া ওই বাচ্চাটিকে স্বাভাবিক রাউন্ডে গিয়ে দেখতে যান, তখন তাঁরা দেখেন কন্যা সন্তানটি কোনরকম নড়াচড়া করছে না। তখন তাঁদের সন্দেহ হয়। এর পরই তাঁরা যে চিকিৎসকের হাতে বাচ্চাটির প্রসব হয়েছে, সেই চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে আসেন। তিনি এসে দেখেন কন্যাসন্তানটি মারা গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে মারা গেল ফুটফুটে বাচ্চাটি?
ডাক্তার এবং নার্সরা ওই মহিলাকে চেপে ধরলে তিনি জানিয়ে দেন যে, তাঁর কন্যাসন্তান দরকার নেই। তাই তাকে হত্যা করেছেন তিনি! নার্সিংহোম সূত্রে জানা যাচ্ছে, এদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এই ঘটনাটা ঘটে। মহিলার স্বামী কেবিন থেকে বেরিয়েছিলেন চা খেতে। সে সময় কাছেপিঠে কেউ ছিল না। এই ছোট্ট সময়ের মধ্যে এমন ন্যক্কারজনক কাণ্ড ঘটান মা।
ইতিমধ্যে একবালপুর থানার পুলিশ ওই মহিলাকে নেতাজি সুভাষ নার্সিংহোমের কেবিনের মধ্যে পুলিশ পাহারায় আছে। পুরো ঘটনাটা তদন্ত করে দেখছে একবালপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: WB Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসায় যোগ হল আরও ৩ এফআইআর, মোট মামলা ৪৩