কলকাতা: ভোট-সন্ত্রাসে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে এদিন নন্দীগ্রামে (Nandigram) গিয়েছিল তৃণমূলের (Trinamool Congress) প্রতিনিধি দল। কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজাদের হাত ধরে ঘরেও ফেরেন বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী। অন্যদিকে এদিনই আবার এসএসকেএমে (SSKM Hospital) আহত তৃণমূল কর্মীদের দেখতে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখান থেকেই সুর চড়ান বিজেপির বিরুদ্ধে। সুর চড়ান বিচারব্যবস্থার একাংশের বিরুদ্ধে। অভিষেকের দাবি, রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরেই তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা করছে বিজেপি। এদিন এসএসকেএম থেকে অভিষেক বলেন, “নন্দীগ্রামে কার্যত বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। এক নম্বর ব্লকে জেলা পরিষদের তিনটি আসনই তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে। পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল জিতেছে। সাতটা অঞ্চল তৃণমূল জিতেছে। মহিলাদেরও ওরা ছাড়েনি। খুন-ধর্ষণের শাসানি দেওয়া হয়েছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের আক্রমণ করেছে। ওদেরও রেহাত করেনি।”
কিন্তু, এত ঘটনার পরেও পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না? এদিন নিজেই এই প্রশ্ন করতে গিয়ে বিচারব্যবস্থার একাংশের বিরুদ্ধেও সুর চড়ান অভিষেক। রীতিমতো কটাক্ষের সুরে বলেন, “আমি যাদের কথা বলছি তাঁদের সবাইকে হাইকোর্ট প্রোটেকশন দিয়ে রেখে দিয়েছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি বারবার বলেছি বিচারব্যবস্থার একাংশ বিজেপিকে মদত দিচ্ছে। গণতন্ত্রের তৃতীয় স্তম্ভ হচ্ছে বিচারব্যবস্থা। চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই দুটো স্তম্ভ ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিজেপি। হাইকোর্টের একাংশ এই সমাজবিরোধীগুলিকে যেভাবে মদত দিচ্ছে তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক।” একইসঙ্গে বিচারপতির উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি যদি প্রোটেকশন চাইতে যাই, আমায় দেবেন?”
এদিন এসএসকেএমে ১৪ জন তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক। কারা তাঁদের উপর আক্রমণ শানিয়েছে তাও শোনেন নিজের মুখে। লিখে নেন ২০ জনের নাম। দ্রুত সেই ২০ জনের নাম মমতাকে দেবেন বলেও এদিন অভিষেক জানিয়েছেন। অন্যদিকে পাল্টা অভিষেকের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস কোনও রাজনৈতিক দলই নয়। যাঁরা সংবিধানের শপথ নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, বিভিন্ন সাংবিধানিক পদে থাকেন তাঁরাই সরাসরি বিচারব্যবস্থাকে আক্রমণ করছেন। এখানে তো বিচারপতিরা কোর্টরুমের মধ্যে নিগৃহীত হচ্ছেন, বাড়িতে পোস্টার মারা হচ্ছে।”