কলকাতা: গত দু’মাস ধরে তপ্ত হয়েছে সন্দেশখালি। তৃণমূল নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে পথে নেমে সরব হয়েছিলেন গ্রামের মহিলারা। পাল্টা তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে শাসকদলও। কাউকে সাসপেন্ড তো কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অবশেষে সেই সন্দশখালি নিয়েই মুখ খুললেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গ তুললেন শেখ শাহজাহানেরও।
অভিজিৎবাবু জানিয়েছেন, “পুলিশ গ্রেফতার করতে চায়নি বলেই শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হয়নি।” এ ক্ষেত্রে বলতে গিয়ে কার্যত ক্ষুব্ধও হয়েছেন তিনি। বলেছেন, “এক তালপাতার সিপাহি বলে দিলেন আদালতের জন্য নাকি গ্রেফতার করা যায়নি তাঁকে।” অবসর প্রাপ্ত বিচারপতির প্রশ্ন, ‘তালপাতার সিপাহি’ কি আইন বোঝেন? বলেন, “পেটে বোমা মারলে আইন বেরবে?” বস্তুত, আজ বারে-বারে তৃণমূল সেনাপতিকে ‘তালপাতার সিপাহি’ বলে কটাক্ষ করেছেন। এমনকী তাঁর নামও মুখে আনতে চাননি তিনি।
তবে এ দিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নাকি সন্দেশখালির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে। তিনি নাকি জানতে পেরেছেন, বীরভূমে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট করানোই যাবে না। বলেছেন, “আমি শুনেছি বীরভূমে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা না হলে ভোট করতে দেবে না তৃণমূল।”
প্রসঙ্গত, ইডি হামলার পর ৫৫ দিন পর গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান। এ প্রসঙ্গে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ বলেছিলনে, “আইনি জটিলতার জন্য পুলিশ গ্রেফতার করতে পারছিল না।দিন দুয়েক আগে যখন আদালত বলে গ্রেফতারির উপর কোনও বিধি নিষেধ নেই, তারপর জোর কদমে আমরা তল্লাশি চালাই।” উল্লেখ্য, সন্দেশখালি মামলায় শেখ শাহজাহানকে নিয়ে বড় নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দেয়,সন্দেশখালি মামলায় শেখ শাহজাহানকে যুক্ত করা হল। শেখ শাহজাহানকে পার্টি করার বিষয়টি ২টি সংবাদপত্রে নোটিস দিয়ে জানায় হাইকোর্ট। শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারিতে আদালতের কোনও স্থগিতাদেশ নেই বলেও জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি।