কলকাতা: কাঁকুরগাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মা ও দাদাকে নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকেই। তাঁরাই এই মামলার মূল দুই সাক্ষী। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন। বিচারপতি নির্দেশ, নারকেলডাঙা এলাকায় অভিজিতের বাড়িতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ক্যাম্প করে পাহারা দিতে হবে পুলিশকে। এই সময়ের মধ্যে সিবিআই তাদের পাঠানো অভিযোগ বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। বিচারপতি মন্থর বক্তব্য, নিরাপত্তার গাফিলতিতে যদি দু’জনের ওপরে আক্রমণ হয়। যদি বড় কোনও ঘটনা ঘটে যেত, তাহলে তার দায় কে নেবে? আদালতের পর্যবেক্ষণ, নিম্ন আদালতে অভিজিতের মা ও দাদা ১৯ ও ২০ মার্চ সাক্ষ্য দেবেন। এরইমধ্যে তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় সাক্ষীদের নিরাপত্তা খুব জরুরি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। এরপর রাজ্য সরকারকে সরকার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালত পুলিশকে নির্দেশ দেয়, হামলার ঘটনার যাবতীয় ফুটেজ যেন সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যেহেতু বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের রহস্যমৃত্যুর মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বিশ্বজিতের অভিযোগ, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সেই জেলবন্দিদের পরিবারের লোকজনই সরকার বাড়িতে হামলা চালায়। মা এবং তাঁকে জোর করে কাগজে সই করানোর চেষ্টারও অভিযোগ তোলেন বিশ্বজিৎ। তাঁর দাবি, ওই কাগজে মামলা প্রত্যাহারের কথা লেখা ছিল। এরপর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে অভিযোগ জানান বিশ্বজিৎ সরকার।
বিচারপতি স্পষ্ট করে দেন, নিম্ন আদালতে সাক্ষ্যদান রয়েছে বিশ্বজিৎ ও তাঁর মায়ের। সেক্ষেত্রে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে পুলিশকেই।