কলকাতা: তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে পূর্ব মেদিনীপুর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতাদের নিয়ে আজ বৈঠক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজই কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বৈঠকও করবেন অভিষেক। বাংলার রাজনীতিতে পূর্ব মেদিনীপুর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের হাইভোল্টেজ লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিধায়ক হন শুভেন্দু। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এবার তাঁর গড়েই দলের সংগঠনে নজর অভিষেকের।
দুই হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর গ্রেফতারির পর বিরোধীদের আক্রমণে কিছুটা হলেও কোণঠাসা তৃণমূল। এরকম একটা পরিস্থিতিতে শুভেন্দুর গড়ে অভিষেকের সভার দিকে নজর গোটা রাজনৈতিক মহলের। সোমবারও পশ্চিম মেদিনীপুরের দুই সাংগঠনিক জেলা নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক। একটা তাৎপর্যপূর্ণ কথা বসেছেন। ‘গা জোয়ারি করা চলবে না…’দল যে কোনও রকম গা জোয়ারিকে বরদাস্ত করবে না, তা স্পষ্ট করে দেন অভিষেক।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বারংবার সমালোচনা উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তার মাশুল গুনতে হয়েছিল ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে। এবার ২০২৪ সালে মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আগে নতুন কোনও বিতর্ক যাতে দলকে কোণঠাসা করতে না পারে, তার ওপরেই জোর দিচ্ছেন শীর্ষ নেতৃত্ব।
আজ দুপুর ২টো থেকে দুটি সাংগঠনিক জেলা নিয়ে কথা হবে। প্রথমে তমলুক সাংগঠনিক জেলা ও তারপর কাঁথি। রাজনৈতিক দিক থেকে এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ব্যক্তি দুর্নীতির দায় যে দল নেবে না, সেটাই স্পষ্ট করতে চাইছেন অভিষেক। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে তৃলমূলস্তর থেকেই শুদ্ধিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে দল। ইতিমধ্যে একের পর এক জেলাওয়ারি বৈঠক করে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ৬ মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আজকের বৈঠকে কী টোটকা দেন অভিষেক, সেদিকেই তাকিয়ে জেলা নেতৃত্ব।