কলকাতা: নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই সংগঠনের ওপর নজর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা নেতৃত্ব-বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন অভিষেক। সোমবারই দুপুর তিনটে নাগাদ বৈঠক করার কথা রয়েছে অভিষেকের। বিভিন্ন জেলার জেলা নেতৃত্ব এই বৈঠকে থাকবেন। তবে এক্ষেত্রে সমস্ত জেলা সভাপতি কিংবা বিধায়করা থাকবেন না বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। মূলত যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ বিধায়ক, জেলায় সক্রিয় সভাপতিরাই এই বৈঠকে থাকবেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় জেলায় যে কোর টিম বিশেষ ভূমিকা পালন করবে, তাঁদেরই একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সুব্রত বক্সি থাকছেন এই বৈঠকে। তবে আর কে কে এই বৈঠকে থাকছেন, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা জানা সম্ভব হয়নি। আসলে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে শাসকদল। সেক্ষেত্রে জেলাওয়াড়ি বৈঠকও শুরু করেছেন নেতৃত্ব।
একদিকে, রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া আদায়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়ছেন, অন্যদিকে নজর দিয়েছেন দলের সংগঠনে। জেলা ধরে ধরে বৈঠক তো রয়েইছে, পাশাপাশি জেলার কোর টিম, যাকে অন্তত ভরসা করা যায়, সেরকমই মুখ বেছে বিশেষ দায়িত্ব দিতে চাইছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘দুর্নীতি’ নামক শব্দটি যেভাবে দলতে বিদ্ধ করেছে, যেভাবে দলের একেবারে স্থানীয় স্তরের মুখ থেকে শুরু করে নেতামন্ত্রীরা জড়িয়েছেন, তাতে প্রথমটায় বেশ ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল। দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে এবার ময়দানে শীর্ষ নেতৃত্বই। দুর্নীতি যে হয়নি, তা একবারও বলছেন না তাঁরা। বরং বলছেন, দুর্নীতি হয়েছে, পূর্বতন জমানাতেও হয়েছে, তবে তৃণমূলই এমন একটা দল, যাঁরা অভিযুক্তদের শাস্তি দিয়েছে। সে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, একসময়ের দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই হোন না কেন! তৃণমূল ‘শাস্তি’ দিতে পারে! অভিষেকের শেখানো বুলিতে পঞ্চায়েতের আগে, এটাই মানুষকে বোঝাচ্ছে তৃণমূল। এরকমই আরও বেশ কিছু দাওয়াই এদিনের সভায় অভিষেক জেলা ভিত্তিক দলের মুখকে দিতে চাইছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।