কলকাতা: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জোর তল্লাশি চলছে রাজ্য জুড়ে। তালিকায় তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরাও। গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের পর আজ, রবিবার পুর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে চলে তল্লাশি। বাদ যাননি বিধায়ক মদন মিত্রও। তবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে বারবার তল্লাশি চালানো হলেও তৃণমূল মাথা নোয়াবে না। তাঁর আরও দাবি, কেন্দ্রীয় সংস্থার এই সব তল্লাশি নেহাতই লোক দেখানো।
রাজভবনের সামনে ধরনা মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, “রথীনদাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ইডি কী করছিল এতক্ষণ? রথীনদা বললেন, আমার খাটে ইডি অফিসাররা ঘুমোচ্ছিলেন। আমি বললাম সে কি তোমার খাটে অফিসাররা ঘুমোচ্ছিলেন? রথীনদা বললেন, হ্যাঁ তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গেলে তো ভাববে কিছুই পায়নি।”
সিবিআই বা ইডি-কে কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করে বলে বারবার দাবি করেছে রাজ্যের শাসক দল। আজ, রবিবার ১২ জায়গায় সিবিআই তল্লাশির পর সেই একই সুর শোনা গেল অভিষেকের গলা। এ দিন তিনি বলেন, “কখনও ইডি পাঠিয়ে, কখনও সিবিআই পাঠিয়ে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। আর বেচারা ইডি-সিবিআই, সকালে যার বাড়ি যাচ্ছে বিকেলে সে ধরনা মঞ্চে চলে আসছে।” উল্লেখ্য, রবিবার কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতে তল্লাশির পর বিকেলেই তিনি হাজির হন ধরনা মঞ্চে। বক্তব্যও পেশ করেন।
অভিষেক জানিয়েছেন, আজ ধরনা মঞ্চে উপস্থিত হতে না পারলেও সোমবার যাবেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বাড়িতে রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলেছে সিবিআই তল্লাশি। তিনি ধরনা মঞ্চে গিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানাবেন বলে মন্তব্য করেন অভিষেক। তিনি আরও বলেন, “আমার কথা তো ছেড়ে দিন। সকাল বিকেল চিঠি লিখছে। পাতা ফুরিয়ে যাচ্ছে, কালি ফুরিয়ে যাচ্ছে। তবু আমরা মাথানত করব না।”