কলকাতা: “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার মালিক, তিনিই আমার অন্নদাতা।” বেহালার বাড়িতে বসে বললেন ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয় ভদ্র। TV9 বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সুজয় ভদ্র বলেন, “একটা জলের কারখানা রয়েছে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির সবটা দেখি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা বললে ভুল। যখন তৈরি হয়েছিল, এটা পার্টনার শিপ ফার্ম। একটা ছোট্ট করে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। আমি প্রথম দিন থেকেই আছি। ছোট ছোট করে কাজ করতে করতে এই জলের কারখানা তৈরি করেছি।” তিনি আরও বলেন, “একটা সময়ে অনেক বড় কাজ করতাম। এখন আমারও শরীর খারাপ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একদমই সময় দিতে পারেন না। আর আমরা নাম ভাঙাই না। নাম ভাঙালে এখনও কোটি কোটি টাকার কাজ হবে।”
সুজয় আরও বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার মালিক। এখন উনি নেই। কিন্তু চাকরিটা উনিই দিয়েছেন। আজকে ভাতটা তো আমার তাঁর পয়সাতেই হয়।” সুজয় নিজেই বলেন, “এই কোম্পানির বিরুদ্ধে সবার প্রথমে অভিযোগ এনেছিলেন গৌতম দেব। ৩০০টি সেল কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। গৌতম দেবের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করেছিলাম। আইটি রিটার্ন দেওয়া হয়, জিএসটি, সার্ভিস ট্যাক্স সবই দেওয়া হত। কোম্পানি তাঁর নিয়মে চলে। একটা বাচ্চা ছেলে, লড়াই করে একটা জায়গা তৈরি করছে। বিধানসভায় কীভাবে লড়েছে, দিদির জনপ্রিয়তা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকাঠামোর ফল দেখেছে বাংলা। সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন টার্গেট হবে না!”
আবার এই ‘কালীঘাটের কাকু’ প্রসঙ্গেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এখন তাঁর নামটা হঠাৎ কেউ ভাসিয়ে দিল, তার মানেই তিনি অভিযুক্ত, এটা তো হতে পারে না। আবার যাঁকে বলা হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত, তাঁর সন্তানই তো পরীক্ষা দিয়েই শিক্ষকতার চাকরি পাননি। এটা কীভাবে সম্ভব? তিনি যদি জড়িত হতেন, তাহলে তো নিজের বাড়ির লোককেই চাকরি দিতেন।”
নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘কালীঘাটের কাকুর’ নাম ফাঁস করেছেন তাপস মণ্ডল। অথচ এই কাকু সুজয় ভদ্র দাবি করেন, কুন্তলকে চিনলেও, তাঁর সঙ্গে চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে আলোচনা হয়নি। কুন্তলের সঙ্গে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও কথাই হয়নি। কিন্তু তিনি কোনওভাবেই তাপস মণ্ডলকে চেনেন না। ফলে এই নিয়ে জলঘোলা চলছেই।