ব্যারাকপুর : নদীতে যুদ্ধের মহড়া চলাকালীন দুর্ঘটনা। ব্যারাকপুরে (Barrackpore) দুই জওয়ানের মৃত্যু (Indian Army)। নদীতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লাগে। সেখানেই মৃত্যু হয় এনকে লেংখোলাল এবং অলড্রিন হামিংথানজুয়ালা নামে দুই জওয়ানের। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে নদীর উপরে টাঙানো দড়ির উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে সেনা জওয়ানদের। গঙ্গা থেকে সংযোগকারী একটি সরবর রয়েছে ব্যারাকপুর সেনা ছাউনির মধ্যে। এদিন সেখানে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচুতে থাকা দড়ি দিয়ে সেনা জওয়ানদের হেঁটে যাওয়ার ট্রেনিং হচ্ছিল। সেনার মোট চারটি দল ছিল বলে জানা যাচ্ছে। প্রতি দলে তিনজন করে ট্রেনিং নিচ্ছিলেন।
সূত্রের খবর, প্রথম তিনজনের দলটি নির্বিঘ্নে দড়ির উপর দিয়ে হেঁটে যায়। দ্বিতীয় তিনজনের দলটি হেঁটে যাওয়ার সময় ঘটে বিপত্তি। তিনজন একসঙ্গে নদী সংযোগকারী সরোবরের মধ্যে পড়ে যান। একজনকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বাকি দুজন ওই সরোবরের জলে ডুবে যান। মাথায় এবং বুকে আঘাত লাগে। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সহকর্মীরা। যদিও হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তাঁরা মারা যান। যদিও এই মৃত্যু নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন? এই জওয়ানদের কর্মজীবনের শুরুতেই সাঁতারের প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে। এমনকি সাঁতার জানলেই সেনাবাহিনীতে কাজে যোগদানের ক্ষেত্রে সুবিধা মেলে। তাহলে কিভাবে ওই দুই জওয়ান জলের মধ্যে ডুবে গেলেন? পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা কি নেওয়া ছিল?
একইসঙ্গে এই ধরনের প্রশিক্ষণের জন্য আগাম বিপর্যয় মোকাবিলা দল রাখতে হয়। এক্ষেত্রে কতটা কার্যকরী ভূমিকা ছিল ওই দলের? সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে এই ঘটনার কোর্ট অফ ইনকোয়ারির অর্ডার দেওয়া হয়েছে। মৃত দুই জওয়ানের বাড়ি নাগাল্যান্ড এবং মিজোরামে। খবর দেওয়া