SSKM-এ নাবালিকার যৌন হেনস্থার ঘটনায় ৩ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে অভিযুক্ত
SSKM Hospital: পুলিশ সূত্রে দাবি, আদালতে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট এবং গোপন জবানবন্দির নথি জমা পড়েছে। পাশাপশি নির্যাতিতা ও তার মা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া গোপন জবানবন্দির সঙ্গে মিলেছে মেডিক্যাল রিপোর্ট। ঘটনার দিন অভিযুক্তের গতিবিধিও পুলিশি তদন্তের আওতায় রয়েছে।

কলকাতা: এসএসকেএমের ভিতরে নাবালিকার যৌন হেনস্থার ঘটনায় ফের পুলিশ হেফাজতে অভিযুক্ত। ৩ নভেম্বর পর্যন্ত অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আলিপুর বিশেষ পকসো আদালতের। আগের হেফাজতের মেয়াদ শেষে এদিনই অভিযুক্তকে ফের আদালতে পেশ করে পুলিশ। পুনরায় হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। রুদ্ধদ্বার কক্ষে চলে শুনানি। শেষ পর্যন্ত সমস্ত সওয়াল জবাব শেষে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত অভিযুক্তের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে দাবি, আদালতে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট এবং গোপন জবানবন্দির নথি জমা পড়েছে। পাশাপশি নির্যাতিতা ও তার মা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া গোপন জবানবন্দির সঙ্গে মিলেছে মেডিক্যাল রিপোর্ট। ঘটনার দিন অভিযুক্তের গতিবিধিও পুলিশি তদন্তের আওতায় রয়েছে।
অভিযুক্ত কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন তা খতিয়ে দেখতে একাধিক সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। পুরোদমে চলছে তদন্ত। নির্যাতিতা ও অভিযুক্ত ঘটনার সময় যে পোশাক পরেছিলেন, তা বাজেয়াপ্ত করে পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক পরীক্ষায়।
ঘটনার পরই জানা গিয়েছিল অভিযুক্ত আগে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে কর্মরত ছিল। বর্তমানে এনআরএস হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী। ওই ব্যক্তিই এসএসকেএমে ঢুকে ওয়ার্ড বয়ের পোশাক পরে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এরইমধ্যে ওই নাবালিকার পরিবারকে OPD-তে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে সাহায্য করার আশ্বাস দেয়। সেই অছিলাতেই নাবালিকাকে নিয়ে ভিতরে একটি শৌচালয়ে চলে যায়। সেখানেই শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় ফের একবার তোলপাড় শুরু হয় স্বাস্থ্য মহলের অন্দরে। প্রশ্ন ওঠে এসএসকেএমের নিরাপত্তা নিয়ে। আরজি কর কাণ্ডের পর ফের একবার তোলপাড় চলে রাজনৈতিক মহলে।
