Mithun Chakrabarty: ‘সমাজের মেরুদণ্ড ভাঙতে হলে প্রথমে শিক্ষাটা ভাঙতে হয়’, নবান্ন-রাজভবনের সংঘাতের আবহে খোঁচা মিঠুনের

Sucharita De | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 10, 2023 | 10:14 PM

Mithun Chakrabarty: মিঠুন বলেন, "রাজনীতির বাইরে গিয়ে একটা কথা বলতে চাই। ইতিহাস পড়লে দেখা যাবে, সমাজের মেরুদণ্ডটা ভাঙতে হলে প্রথমে শিক্ষাটা ভাঙতে হয়। সমাজ শুধু নয়, কোনও প্রতিষ্ঠানকে তছনছ করতে হলেও প্রথমে শিক্ষাকে আঘাত করতে হয়। কে করছে, কী করছে আমি বলছি না।

Mithun Chakrabarty: সমাজের মেরুদণ্ড ভাঙতে হলে প্রথমে শিক্ষাটা ভাঙতে হয়, নবান্ন-রাজভবনের সংঘাতের আবহে খোঁচা মিঠুনের
স্কটিশ চার্চ কলেজে মিঠুন চক্রবর্তী।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: সমাজের শিরদাঁড়া ভাঙতে আগে শিক্ষায় আঘাত করতে হয়। রবিবার স্কটিশ চার্চ কলেজে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন অভিনেতা তথা কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। স্কটিশেরই প্রাক্তনী মিঠুন। চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেনের শতবর্ষ স্মরণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল কর্তৃপক্ষ। সেখানেই অতিথি হিসাবে যোগ দেন প্রাক্তনী মিঠুন। এই মুহূর্তে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নিয়ে একটা দোলাচলতা তৈরি হয়েছে এ রাজ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত সপ্তমে। এই আবহে মিঠুনের এই মন্তব্য। এদিন সাংবাদিকরা মিঠুনকে রাজ্যের কলেজগুলির পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। প্রথমেই মিঠুন বলে দেন, কোনও রাজনৈতিক কথা তিনি বলবেন না। তবে রাজনীতি দূরে সরিয়ে রেখেই এ প্রশ্নের জবাব দেবেন বলে জানান তিনি।

এরপরই মিঠুন বলেন, “রাজনীতির বাইরে গিয়ে একটা কথা বলতে চাই। ইতিহাস পড়লে দেখা যাবে, সমাজের মেরুদণ্ডটা ভাঙতে হলে প্রথমে শিক্ষাটা ভাঙতে হয়। সমাজ শুধু নয়, কোনও প্রতিষ্ঠানকে তছনছ করতে হলেও প্রথমে শিক্ষাকে আঘাত করতে হয়। কে করছে, কী করছে আমি বলছি না। আমি কাউকে বলতেও চাই না। তবে সোসাইটি না থাকলে ফাউন্ডেশন থাকবে না, ভবিষ্যৎও তৈরি হবে না। আর আমি ভবিষ্যতেই বিশ্বাসী।”

এই মুহূর্তে রাজ্য একদিকে যেমন শিক্ষা-দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে রেখে তোলপাড়। নেতা, মন্ত্রী এই দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। জেলে বিচারাধীন বন্দি হয়ে দিন কাটছে এক সময় যাঁরা রাজ্যের প্রাথমিক কিংবা উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছেন। ইডি, সিবিআই একযোগে তদন্ত করছে এই দুর্নীতির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি বলছে, কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

অন্যদিকে তখন উচ্চশিক্ষা নিয়েও কম আকচাআকচি চলছে না। রাজ্যপাল রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। সেই পদাধিকার বলে তিনি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছে। এদিকে আচার্যের এই এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে এই নিয়োগ নিয়ে নিয়মিত তরজা চলছে। কখনও এক্স হ্যান্ডেলে, কখনও আবার সংবাদমাধ্যমে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, শিক্ষা নিয়ে খুব একটা স্বস্তির জায়গায় নেই রাজ্য। এরইমধ্যে মিঠুনের এমন ‘আপলিটিকাল’ মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

Next Article