কলকাতা : প্রথমে পল্লবী, তারপর বিদিশা, এবার মঞ্জুষা। শহরে একের পর এক উঠতি মডেল তথা অভিনেত্রীর মৃত্যু। শুক্রবার সকালেই পাটুলির বাড়ি থেকে মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মৃত্যুর পর বেহালায় মঞ্জুষার শ্বশুরবাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ছয় মাস আগে বিয়ে হয়েছিল রামনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মঞ্জুষার। রামনাথ পেশায় ফটোগ্রাফার। পরিবার সূত্রে খবর, মঞ্জুষার পার্সোনাল ফটোগ্রাফার ছিলেন রামনাথ। সেই থেকেই দুই জনের ঘনিষ্ঠতা। গত নভেম্বরে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। সংসারও ভালভাবেই চলছিল। স্বামীর সঙ্গে বা শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে কোনওরকম অশান্তিও ছিল না তাঁর। মঞ্জুষার ইচ্ছা ছিল, মা জীবিত থাকতে থাকতেই তাঁর একটি সন্তান হবে। কিন্তু কেন হঠাৎ এই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন মঞ্জুষা, তা ভেবে পাচ্ছেন না শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
মঞ্জুষার ননদ তনিমা দাস জানিয়েছেন, “এটা আমরা কল্পনাও করতে পারছি না। এটা আমাদের কাছে অভাবনীয়। ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর ওদের বিয়ে হয়েছিল। দুইজনের সম্পর্ক খুবই ভাল ছিল। মঞ্জুষা ওর কেরিয়ার খুবই ভালবাসত। বাবা-মা (মঞ্জুষার শ্বশুর-শাশুড়ি) দুইজনই ডিভিসিতে চাকরি করতেন। আর্থিক কোনও সমস্যা নেই। ওর কেরিয়ার ওর কাছে প্যাশন ছিল।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “মঞ্জুষার মাও তাঁকে বলতেন, এবার একটু সংসার কর। ওর খুব শখ ছিল, মা জীবিত থাকতে থাকতে ওর একটা সন্তান হবে। আমাদের ঘরে যে এমন হবে, তা আমরা কোনওদিন ভাবিনি।”
মৃতার শাশুড়ি সবিতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “খুব হাসিখুশি মেয়ে ছিল মঞ্জুষা। গান-বাজনা পছন্দ করত। সিরিয়াল করত, সকালে যেত, রাত্রে ফিরত। যতক্ষণ বাড়িতে থাকত, ভালই থাকত। আজ বউয়ের আসার কথা ছিল। কেন আসল না, তা জানতেই ফোন করেছিলাম। তখনই ছেলে বলল, আর নেই। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম, নেই মানে হয়ত শুটে গিয়েছে। কিন্তু তারপর ছেলে বলল, আর এই জগতেই নই। একমাত্র ঘরের বউ, সেই চলে গেল। ঘরের লক্ষ্মী হয়ে এসেছিল, কেন চলে গেল, কিছুই বুঝতে পারছি না। বাড়িতে বা বাপের বাড়িতে কোনও গন্ডগোল নেই।