Adhir Ranjan Chowdhury: ‘মন্ত্রীর শেল্টারে থাকলে কখনও কি ধরা পড়ে?’, ফিরহাদ-গড়ে খোঁচা অধীরের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Sep 20, 2022 | 11:11 PM

Adhir Ranjan Chowdhury: অধীর চৌধুরী বলেন, "এই এলাকায় রাজ্যের এক হেভিওয়েট মন্ত্রী রয়েছেন। যে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে ওই টাকা উদ্ধার হয়েছে সেই যুবক ওই মন্ত্রীর হেফাজতে রয়েছে।"

Adhir Ranjan Chowdhury: মন্ত্রীর শেল্টারে থাকলে কখনও কি ধরা পড়ে?, ফিরহাদ-গড়ে খোঁচা অধীরের
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী

Follow Us

কলকাতা: মঙ্গলবার সন্ধেয় মেটিয়াবুরুজে এক দলীয় সভায় এসেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। যেখানে তিনি সভা করেন, তার থেকে কিছু দূরেই সম্প্রতি হানা দিয়েছিল ইডি। অনলাইন গেম প্রতারণার অভিযোগে আমির খান নামে এক যুবকের বাড়ি থেকে ১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা উদ্ধার করেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। অভিযুক্ত আমির খান এখনও অধরা। সেই প্রসঙ্গে টেনে এদিন অধীর বাবু বলেন, “এই এলাকায় রাজ্যের এক হেভিওয়েট মন্ত্রী রয়েছেন। যে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে ওই টাকা উদ্ধার হয়েছে সেই যুবক ওই মন্ত্রীর হেফাজতে রয়েছে। সেই কারণে ইডি ওই যুবককে গ্রেফতার করতে পারছে না। মন্ত্রীর শেল্টারে থাকলে কখনও কি ধরা পড়ে?” যদিও অধীর চৌধুরী সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করেননি। তবে রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, অধীরের ইঙ্গিত ছিল এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দিকে।

সেই সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির আরও সংযোজন, “ঘটনাটির প্রকৃত তদন্ত হলে মন্ত্রীর নাম আসবে। আগেও বলেছি, এখনও বলছি।” অধীর রঞ্জন চৌধুরী আরও বলেন, “রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী এই এলাকার দায়িত্বে থাকায় অভিযুক্তরা সহজেই ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। শক্তিশালী সাপোর্ট ছাড়া এত টাকা কারোর কাছে থাকে না… আমি কোনও মন্ত্রীর নাম বলব না। আপনারাই বুঝে নিন কোন মন্ত্রীর কথা আমি বলছি। এই এলাকার সবথেকে শক্তিশালী মন্ত্রী।”

উল্লেখ্য, এর আগে যেদিন গার্ডেন রিচের ওই এলাকায় ইডি অভিযান চালিয়েছিল, সেইদিন স্বতোঃপ্রণোদিত হয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। সরব হয়েছিলেন ইডির অভিযান প্রসঙ্গে। সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযানের মাধ্যমে রাজ্যের অর্থনীতিকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। পরের দিনই অবশ্য তিনি আবার বলেছিলেন, এজেন্সি এজেন্সির মতো কাজ করবে। তবে ফিরহাদ হাকিমের ওই সাংবাদিক বৈঠক করা নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধীরা। এক্ষেত্রেও ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা করেছিলেন বিরোধীরা। সুজন চক্রবর্তী প্রশ্ন তুলেছিলেন, “গার্ডেনরিচের নিসার খান পরিবহণ ব্যবসায়ী। তাঁর কাছ থেকে টাকা পেলে প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কপালে ভাঁজ কেন?”

যদিও ফিরহাদ হাকিম এই বিষয়ে সোজাসাপ্টা জবাবও দিয়েছিলেন সেই সময়। মন্ত্রী বলেছিলেন, “ওখানে পোর্ট এলাকায় তো বহু ব্যবসায়ী আছে। তাদের সকলকে চেনা আমার দায়িত্ব নাকি? আমি কি ঠেকা নিয়ে রেখেছি।” তবে এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতোর লেগেই রয়েছে। এবার মেটিয়াবুরুজের সভা থেকে আবারও সেই প্রসঙ্গকেই উস্কে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

Next Article