AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

RG Kar: ৫ দিনের ‘টানাপোড়েন’ শেষে নিজের কার্যালয়ে আরজি করের নতুন অধ্যক্ষ

RG Kar: অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে থাকা চিকিৎসক পড়ুয়া, জুনিয়র চিকিৎসকরা বিক্ষোভ দেখান। দুর্নীতি মুক্ত ক্যাম্পাস চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি সংক্রান্ত পোস্টার নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। অন্যদিকে আগের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষপন্থীরাও পোস্টার নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

RG Kar: ৫ দিনের 'টানাপোড়েন' শেষে নিজের কার্যালয়ে আরজি করের নতুন অধ্যক্ষ
বহু চাপানউতর শেষে অধ্যক্ষ গেলেন নিজের দফতরে। Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2023 | 8:09 PM
Share

কলকাতা: কার্যত নাটকীয় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই নিজের ঘরে ঢুকলেন আরজি করের নতুন অধ্যক্ষ। শনিবার নানা টালবাহানার পর অবশেষে নিজের চেম্বারে ঢোকেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। অধ্যক্ষ বদলের পর থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের পরিস্থিতি যেন আর কিছুতেই বদলাচ্ছে না। গত চারদিন ধরে অধ্যক্ষকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় নিজের চেম্বারে। তবে শনিবার দিনের শেষে নিজের ঘরে ঢুকলেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার আগে এদিন উত্তপ্ত হয় ক্যাম্পাস। বিকেল ৫টা নাগাদ নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে থাকা চিকিৎসক পড়ুয়া, জুনিয়র চিকিৎসকরা বিক্ষোভ দেখান। দুর্নীতি মুক্ত ক্যাম্পাস চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি সংক্রান্ত পোস্টার নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। অন্যদিকে আগের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষপন্থীরাও পোস্টার নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন, ‘জনহিতকারী, ছাত্রদরদী সন্দীপ ঘোষকে ফিরিয়ে দিতে হবে’। দুই পক্ষ কার্যত সামনাসামনি এসে পড়ে। এক ঘণ্টা ধরে এই পরিস্থিতি চলতে থাকে।

সেখানে আসেন হেলথ রিক্রুট বোর্ডের চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়-সহ অন্যরা। সুদীপ্ত রায় বলেন, “এর আগেই আমি অনুরোধ করে গিয়েছিলাম ছাত্ররা যেন তাঁদের আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ায়। নতুন অধ্যক্ষ যাতে কাজ করতে পারেন, তার সুযোগ যেন করে দেওয়া হয়। ছাত্ররা আমার কাছে সময় চেয়েছিল। আজ আবার কথা বলে আবার অনুরোধ করব।” এর পরপরই সেখানে এসে পৌঁছন শান্তনু সেনও।

এরপরই পিজিবি ভবনে আসেন নতুন অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের কার্যালয়ে ঢোকেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশে ফেরার পর তাঁর কাছে সন্দীপ ঘোষপন্থীদের বক্তব্য তুলে ধরা হবে বলে সুদীপ্ত রায়, সুশান্ত রায়রা আশ্বাস দেন। মুখ্যমন্ত্রী না ফেরা পর্যন্ত মানস বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে তাঁর কাজ করে যেতে পারেন, এদিন সেই ব্যবস্থাই করা হয়। তাহলে কি আপাতত আরজি কর বিতর্কের যবনিকা পতন হল?