কলকাতা: যাদবপুর (Jadavpur University) কাণ্ড নিয়ে তদন্ত চলাকালীনই চার বছর আগের র্যাগিংয়ের একটি অভিযোগ সামনে এসেছে। ঘটনা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন একটি হস্টেলের। আইন বিভাগের এক ছাত্র সেই সময় র্যাগিংয়ের প্রতিবাদ জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই ছাত্রের দাবি, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়-সহ শিক্ষামহলের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করে ই-মেইল পাঠানো হয়। অভিযোগ করা হয়, বহিরাগত ছাত্ররাই র্যাগিং করেছিল। UGC থেকে যাঁরা তদন্তে আসেন তাঁরা অভিযুক্ত ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে হস্টেলগুলি পরিদর্শন করেন। কিন্তু অভিযুক্ত কারও বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। আরও গুরুতর অভিযোগ, সেই বহিরাগতরা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হোস্টেলের ঘর দখল করে রেখেছেন। কোনও পদক্ষেপ হয়নি।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে একাধিক হস্টেল। এমনই একটি হস্টেলের নাম চিত্তরঞ্জন হস্টেল। হস্টেলের আবাসিক ৮৫ জন। হস্টেলের রাঁধুনি জানাচ্ছেন, প্রতিদিন রান্না করতে হয় ১০৪-১০৫ জনের। কেন এত বেশি লোকের রান্না, তার স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। এসএফআই-এর দাবি, বেশ কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। বহিরাগতরা সকলেই শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তাঁরা যাতে হস্টেলের দখলদারি বজায় রাখতে পারেন, তাই সেকারণে হস্টেলগুলিতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে না। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরী টেলিফোনে জানান, কয়েকটি বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অনেকেই বলছেন, এখানেও রয়েছে বহিরাগতদের দাদাগিরি ! আর তা নিয়ে, ছাত্র সংগঠনগুলি যথারীতি একে অন্যকে দায়ী করতে ব্যস্ত ! রাজনীতি,চলছে নিজের মতো! আর হস্টেলে অনিয়ম, সেটাও বহাল তবিয়তে বিদ্যমান! এনিয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অবশ্য টেলিফোনে জানিয়েছেন, কয়েকটি বিষয়ে তাঁরা অভিযোগ পেয়েছেন এবং সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ক্যাম্পাস সরগরম এই ভূতূড়ে আবাসিক নিয়েই!