কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অনুসঙ্গে পুরনিয়োগ দুর্নীতি ও রেশন দুর্নীতির অভিযোগ। আর সেই রেশন বণ্টন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সল্টলেক বিসি ২৪৪ ও ২৪৫ নম্বর বাড়িতে দীর্ঘ তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। জিজ্ঞাসাবাদের প্রায় ২১ ঘন্টা পর শুক্রবার ভোরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে সল্টলেকের বাড়ি থেকে আনা হয় সিজিওতে। তবে ইডির নজরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ।
ইডির নজরে রয়েছেন একদা ছাত্র পরিষদ করতেন এক তরুণ। বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পদাধিকারী তিনি। সূত্রের খবর, তিনি আবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন এক সভাপতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে কাউন্সিলরের টিকিট পাইয়ে দিয়েছিলেন কাউকে কাউকে।
হাবড়া এলাকার এক তরুণ কাউন্সিলর। ছাত্র রাজনীতিও করেন। অনেকে বলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মাখামাখি সম্পর্কের কারণেই হঠাৎ করে আর্থিক এবং সামাজিক সম্মানের বদল ঘটে ওই তরুণের। আছেন এক আইনজীবীও। যাঁর বাড়িতে অহরহ যাতায়াত ছিল বর্তমান বনমন্ত্রীর।
বিধাননগর পুর এলাকার এক প্রাক্তন কাউন্সিলর। যাঁকে বছর কয়েক ধরে বিভিন্ন জায়গায় মন্ত্রীর একেবারে ছায়ার মতো থাকতে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও মন্ত্রীর বিধায়ক এলাকার (হাবড়া) বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরও নজরে রয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
বাকিবুর রহমানের মতো একাধিক রাইস মিল মালিক, চাল ব্যবসায়ীও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার সুবাদে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব বাড়িয়েছিলেন বলে ইডির সূত্রে জানা গিয়েছে। আপাতত একটি লম্বা নামের তালিকা তৈরি করছে ইডি। পরপর ডাক পড়তে পারে তাঁদের।