কলকাতা: শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দু’ঘণ্টার বৈঠক সদর্থক বলেই জানিয়েছেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। সোমবার বিকাশ ভবনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ‘শুভানুধ্যায়ী’ কুণাল ঘোষ। বৈঠকে যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, ‘আইন একটা ফ্যাক্টর’। তবে বৈঠক সেরে বেরিয়ে কুণাল জানালেন, আইনি জট কাটাতে রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশন উদ্যোগ নেবে। আর তাতেই সমস্যা মিটবে বলে আশা করা যায়।
এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “সমাধানের একটা রূপালি রেখা যা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমোদন করেছিলেন, জটে যেটা আটকে দিয়েছিল অন্য কেউ। সেটা কাটার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।” আলোচনা ইতিবাচক বলেই জানান কুণাল ঘোষ।
এদিন আরও একবার কুণাল ঘোষকে বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি সরকারের লোক নন, কোনও সরকারি পদাধিকারীও নন। কুণালের দাবি, “যেহেতু আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমার একটা দীর্ঘ যোগাযোগ থাকে, তাঁরা অনুরোধ করেছিলেন বলেই মিটিংয়ে ছিলাম। তাঁদের তরফেই মিটিংয়ে ছিলাম। সরকারি কোনও প্রতিনিধি নই।”
চাকরিপ্রার্থীরা এদিনের বৈঠকে আশার আলো দেখলেও আন্দোলন তুলছেন না বলেই জানিয়েছেন। এ নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “আমিও তো আন্দোলন তোলার কোনও অনুরোধ করিনি। কারণ, তাঁদের মধ্যে তো যন্ত্রণা আছে। আমি আজ ওনাদের আন্দোলন তুলে নিতে বলব, তারপর কোর্টের রায়…। কোর্ট তো কারও হাতে নয়। আমরা আশাবাদী জটটা খুলতে চলেছে।”