কলকাতা: ছাত্র সংসদ নির্বাচন ছাড়া কলেজ অচল। এই দাবি নিয়ে আন্দোলন এখনও অব্যাহত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Calcutta Medical College)। সাংবাদিক সম্মেলন করে বিক্ষোভকারী ছাত্ররা জানিয়ে দেন, আপাতত ঘেরাও তুলে নিচ্ছেন তাঁরা। ঘেরাও মুক্ত হন অধ্য়াপকেরা। কিন্তু বুধবার ফের নতুন করে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। আমরণ অনশন চলবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ছাত্রদের যেটা মূল দাবি, সেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন যে এখনই হচ্ছে না তা জানিয়ে দিয়েছেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়। বুধবারই স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। বৈঠক শেষে তিনি জানান, এখনই ভোট নয়। সুতরাং সমাধান সূত্র যে অধরাই রইল, তা স্পষ্ট।
স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পরিস্থিতি নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন হবে কি না, এ বিষয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। পঠনপাঠন ও হাসপাতালের পরিবেশ বজায় রাখার আবেদন জানাব।’
সোমবার থেকে আটকে রাখা হয়েছিল সুপার সহ হাসপাতালে কর্তাদের। অভিযোগ উঠেছে, রোগীদের দূর-দূরান্ত থেকে হাসপাতালে এসে ফিরে যেতে হয়েছে। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা সবাই পড়ুয়া বলেই দাবি আন্দোলনকারীদের। তাঁদের দাবি চিকিৎসা পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে না, স্বাভাবিকই রাখা হয়েছে। তবে এখনও ভোটের সিদ্ধান্ত না হওয়ায় এখনই আন্দোলন মিটবে কি না, সেই প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।
সোমবার দুপুর ৩ টে থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ঘেরাও শুরু হয়। অধ্যক্ষ, সুপার, ডেপুটি সুপার, নার্সিং সুপারিটেন্ডেন্ট সহ একাধিক বিভাগীয় প্রধানকে ঘেরাও করে রেখেছিলেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। বুধবার দুপুর ২ টো পর্যন্ত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার সময় দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো বুধবার দুপুরে অধ্যক্ষর ঘরে যান তাঁরা। দেখা যায় অধ্যক্ষ নেই। বিভাগীয় প্রধানরাও ছিলেন না।