কলকাতা: লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা। এদিন ভবানীপুর থানায় গিয়ে কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন ওই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী। নেতাজির বিরুদ্ধে অপমানজনক কথা বলার অভিযোগেই কংগ্রেস সাংসদকে কাঠগড়ায় টেনে আনে হিন্দু মহাসভা।
কী অভিযোগ তাঁদের?
নেতাজির জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে বিতর্কিত ও অপমানজনক মন্তব্য করার অভিযোগে দেশের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা। ইতিমধ্যে, কলকাতার ভবানীপুর থানায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। তারপর সেখান থেকে সরাসরি নেতাজি ভবনের সামনে গিয়ে কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান তারা। হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বেই দায়ের হয় অভিযোগ, চলে বিক্ষোভ অভিযানও।
এদিন রাহুলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর শরীরে যাদের রক্ত বইছে, তারা চক্রান্ত করে নেতাজিকে প্রথম দলছাড়া ও পরে দেশছাড়া করেছিল। রাহুল ও তাঁর পূর্বপুরুষরা চিরকাল নেতাজি ও তাঁর আদর্শকে এই দেশ থেকে মুছে দিতে চেয়েছে।’
তাঁর আরও দাবি, ‘আগামী দিনে শুধু রাহুল কেন যে কেউই নেতাজিকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করলে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে হিন্দু মহাসভা । রাহুলের কৃতকর্মের জন্য ভারতবাসী তাঁকে উপযুক্ত শিক্ষা দেবে।’
নেতাজিকে নিয়ে কী বলেছেন রাহুল?
বিতর্কের সূত্রপাত নেতাজির জন্মদিনের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর করা একটি পোস্ট ঘিরে। বৃহস্পতিবার, নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে করা একটি পোস্টে নেতাজির মৃত্যুদিন হিসাবে ১৮ই আগস্ট, ১৯৪৫ সালকে উল্লেখ করেন তিনি। দাদার সুরে সুর মেলান বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও। আর সেই থেকে সূত্রপাত বিতর্কের। রাজনীতিকদের দাবি, কারোর মৃত্যুদিন স্পষ্টভাবে না জেনে কীভাবেই বা মন্তব্য করতে পারেন রাহুল? বরাবরই নেতাজির মৃত্যুদিন নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। কেউ জানে না আসলে কতদিনই বা বেঁচে ছিলেন তিনি। সেটা জেনেও, কীভাবে এমন মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা।