কলকাতা: পদ্ম যেমন আছে, কাঁটাও তেমন আছে। হঠাৎ কেন এ কথা? কার্তিক মহারাজ! গত বছর তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিছুদিন আগেই আবার ‘জঙ্গি’ বলে কটাক্ষ করেছেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তা নিয়ে চাপানউতোর শেষ হওয়ার আগেই সেই কার্তিক মহারাজের হাতে উঠছে পদ্মশ্রী পুরস্কার। আর এই খবর সামনে আসতেই বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় শুরু জোরদার বিতর্ক। খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। খোঁচা দিয়ছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। তাঁর দাবি, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পদ্ম পুরস্কারেও রাজনীতিকরণ হচ্ছে। কেন এমনটা বলছেন তার ব্যখ্যাও দিয়েছেন।
অধীরের কথায়, “ভারত সেবাশ্রম সংঘের সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক। কিন্তু, এখন গেরুয়া বস্ত্র পড়ে যদি কেউ মিশনের মানসিকতার বিরোধিতা করে তাহলে তাঁর সঙ্গে তো সম্পর্ক থাকতে পারে না। একটা কোনও ব্যক্তির জন্য কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ থাকতে পারে না। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পদ্ম পুরস্কারে রাজনীতিকরণ হচ্ছে। কাছের লোক পাবে। যাঁরা আরএসএস, বিজেপির ভাবাদর্শে বিশ্বাস করে তাঁদের জন্য পুরস্কার। সরকারের তোষামদ করলে পুরস্কার। বাকিদের জন্য তিরস্কার। তাই গুরুত্ব থাকছে না পদ্ম পুরস্কারের।”
যদিও এতে কোনও ভুল দেখছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার। জোরাল স্বরেই তিনি বলছেন, “কার্তিক মহারাজ পদ্ম পুরস্কার পাবে না তো কে পাবে! উনি আধ্যাত্মিকতা, সমাজসেবা সহ হিন্দুত্বের বোধ জাগ্রত করতে কাজ করেছেন। সমস্ত হিন্দু মানুষকে নিজেদের সংস্কৃতি সম্পর্কে গৌরবান্বিত করার মনোভাব উনি সমাজে জাগিয়ে তুলেছেন।” বিতর্কের মধ্যেই পাল্টা তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, এখানকার রাজ্য সরকার যাদেরকে পুরস্কার দিয়েছে তার মধ্যে সমাজবিরোধীও আছে। অন্যদিকে বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গ উঠতেই কার্তিক মহারাজ বলছেন, “যাঁর যেরকম দৃষ্টি সে অনুযায়ী ব্যখ্যা করবেন।” উল্টে মমতার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “কেউ বলবেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ। কেউ আবার বলবেন দিদির আশীর্বাদ। নিঃসন্দেহে দিদি আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। তিনি আমার নাম আরও ব্যাপক আকারে প্রচার করেছেন।”