কলকাতা : রাজ্য বিজেপির সব সেল ভেঙে দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে যতগুলি সেল রয়েছে বিজেপি, সেগুলি আপাতত ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে সেলগুলি গঠন হবে ও নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে বিজেপি।
মিডিয়া সেল, স্বাস্থ্য সেল, শিল্প সেল, লিগাল সেল সহ রাজ্য বিজেপির যে সব সেল রয়েছে, তার সবকটিই ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কী কারণে এগুলি ভাঙা হল, তা স্পষ্ট নয়। মূলত দুটি কারণ নিয়েই রয়েছে জল্পনা। নতুন রাজ্য সভাপতি দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন করে রাজ্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কারণে সেলগুলিও নতুন করে গঠন করা হতে পারে। আবার একাংশের মতে, দলের অন্দরে যে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে, তার জেরেও রাজ্য বিজেপির তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
নতুন রাজ্য কমিটি গঠন হওয়ার পর গত কয়েকদিনে রাজ্য বিজেপির অন্দরের বিদ্রোহ প্রকট হয়েছে। অনেক নেতাই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দিয়েছেন। এই সব সেলগুলিতেও এমন অনেক নেতা রয়েছেন যাঁদের বিদ্রোহী তকমা দেওয়া হচ্ছে। তাই তাঁদের ছেঁটে ফেলতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
All departments and cells stand dissolved till the time they are reconstituted and new appointments made: BJP office Secretary Pranoy Roy, West Bengal pic.twitter.com/NW39bUfTPU
— ANI (@ANI) January 13, 2022
তবে প্রশ্ন উঠেছে মিডিয়া সেল নিয়ে। কয়েকদিন আগেই বিজেপির মিডিয়া সেল ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সেলটিও ভেঙে দেওয়া হল কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিদ্রোহী হয়েছেন অনেক নেতাই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর সহ বেশ কয়েকজন মতুয়া বিধায়কের দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন। সূত্রের খবর, বিজেপির রাজ্য কমিটিতে মতুয়া প্রতিনিধিত্ব পর্যাপ্ত নয়। সেই কারণেই দলের একাংশের উপর ক্ষুব্ধ হন বনগাঁর সাংসদ। শুধু শান্তনু নন, তালিকায় নবতম সংযোজন শঙ্কুদেব পাণ্ডা। গ্রুপ ছেড়েছেন তিনিও।
এ ছাড়া কিছুদিন আগেই বাঁকুড়ার পাঁচ বিধায়ক দলের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন একসঙ্গে। বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর জেলার সাংগঠনিক জেলা সভাপতিও পরিবর্তন করা হয়েছে। বাঁকুড়ায় সুনীল রুদ্র মণ্ডল ও বিষ্ণুপুরে বীলেশ্বর সিংহকে। সেই নিয়ে চাপা উত্তেজনা ছিল। বিজেপি বেশ কয়েকজন নেতা মন্ত্রীর বক্তব্য, পরিবর্তন করে যাঁদের আনা হচ্ছে, তাতে সাংগঠনিক কাঠামো আরও দুর্বল হবে। এরই মধ্যে আবার জল্পনা উস্কে দিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ‘শান্তনু ঠাকুর বা অন্যান্য বিক্ষুব্ধরা অদূর ভবিষ্যতে বিজেপিতে থাকবে না।’
আরও পড়ুন : Maynaguri Train Accident: ‘জোরে একটা ঝাঁকুনি দিল, তারপর….’ যা বললেন অভিশপ্ত ট্রেনের যাত্রী