Clash with councillor: কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ, হাসপাতালে ডেঙ্গি সুপারভাইজর

Clash with councillor: ডেঙ্গি সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতেন রিয়া কর বলে এই মহিলা। আহত অবস্থায় তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Clash with councillor: কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ, হাসপাতালে ডেঙ্গি সুপারভাইজর
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গুকর্মী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2022 | 6:21 PM

কলকাতা : করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও ডেঙ্গুর ভয় এখনও কাটেনি। বরং বর্ষায় বেড়েছে রোগের প্রকোপ। প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনিক স্তরে দফায় দফায় বৈঠকও বলছে এই ডেঙ্গু নিয়ে। এরই মধ্য়ে এক পুরকর্মীকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ঘটনা। কাউন্সিলর গোপা পাণ্ডের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে সরব হয়েছেন পুরকর্মীরা। আক্রান্ত ডেঙ্গুর সুপার ভাইজার রিয়া করকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি কাউন্সিলর। তবে পুরসভার তরফে স্বাস্থ্য বিভাগের পুর পারিষদ জানিয়েছেন, এই অভিযোগের কথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন তিনি।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর গোপা পাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত রিয়া কর। তাঁর দাবি, তাঁর বুকে সজোরে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সোমবার সকালে এক ডেঙ্গুকর্মীকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন বলে অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। রিয়ার দাবি, কাউন্সিলরের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে গিয়েছিসেন তিনি। এরপরই রিয়াকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

সহকর্মীরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে দমদম পুরসভা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। পরে কষ্ট বাড়লে আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। রিয়া করের এক সহকর্মী জানান, তাঁদের বেতন খুব বেশি নয়। তাই এ ভাবে কাজ থেকে আচমকা সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তাঁরা। অভিযুক্ত কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, তিনি এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার পুর পারিষদ স্বাস্থ্য সঞ্জয় দাস জানান, তিনি জানান এই বিষয়টি তাঁর কানে এসেছে। কাউন্সিলর যে খুব ভাল কাজ করেননি সে কথা উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর দাবি, ওই কর্মীরা রাস্তায় নেমে ডেঙ্গু প্রতিরোধের কাজ করেন, তাই তাঁদের সঙ্গে এই ধরনের কাজ না হওয়াই কাম্য। সঞ্জয় দাস আরও উল্লেখ করেন, চাকরি থেকে সরানোর কোনও অধিকার কাউন্সিলরের নেই। আহত কর্মীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে তিনি জানান, হাসপাতালে দেখতে যাবেন তিনি। প্রয়োজনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও উল্লেখ করেছেন।