Calcutta High Court: উলুবেড়িয়ার এডিআই-এর হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি রয়েছে কি? খতিয়ে দেখতে ভিজিল্যান্স কমিশন গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

Calcutta High Court: এডিআই-এর কোনও হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখে এক মাসের মধ্যে ভিজিল্যান্স কমিশনকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের থেকে।

Calcutta High Court: উলুবেড়িয়ার এডিআই-এর হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি রয়েছে কি? খতিয়ে দেখতে ভিজিল্যান্স কমিশন গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
কলকাতা হাইকোর্ট।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2022 | 4:21 PM

কলকাতা : চাকরির শুরুর কয়েক বছর পর থেকেই বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এমনকী স্কুলেও ঢুকতে পারেননি বছরের পর বছর। এমন পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন বৃদ্ধা শ্যামলী ঘোষ। মামলা উঠেছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) এজলাসে। আদালতের নির্দেশে প্রায় ৩৬ বছর পর বিচার পান শিক্ষিকা। শ্যামলী ঘোষের ২৬ বছরের বকেয়া বেতন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বকেয়া সেই বেতনের অঙ্ক প্রায় ৪১ লাখ টাকা। কিন্তু এরপর উলুবেড়িয়ার (Uluberia) এডিআই বনমালী জানা ফোন করেছিলেন বৃদ্ধাকে। জানিয়েছিলেন বকেয়া ৪১ লাখ টাকার সম্পূর্ণ অঙ্ক শ্যামলী ঘোষ পাবেন না। কর বাবদ বাদ দেওয়া হবে প্রায় ১০ লাখ টাকা। এই নিয়ে এবার ওই এডিআই-এর বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্স কমিশন বসানোর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

এডিআই বনমালী জানা শ্যামলী ঘোষকে ফোন করে ১০ লাখ টাকা কর বাবদ কেটে নেওয়ার জানানোর পর ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বৃদ্ধা। সেই ইস্যুতে সোমবার উলুবেড়িয়ার এডিআই বনমালী জানাকে আদালতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার বিচারপতি জানিয়েছেন, আয়কর আইনের ১৯২ ধারা এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এটি বৃদ্ধার উপর চাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। বিচারপতি আরও সংশয় প্রকাশ করে জানান, কিছু পাওয়ার জন্য এমন করা হয়েছিল। এই মামলায় কিছু ফাউল প্লে হয়েছে। এডিআই প্রথমবার চিঠিতে এই সব কিছুই উল্লেখ করেননি। যদিও মাত্র চারদিন পর চিঠিতে করের বিষয়ে হঠাৎ উল্লেখ করেন।

শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি বনমালী জানা নামে উলুবেড়িয়ার ওই এডিআই-এর বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্স কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এডিআই-এর কোনও হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখে এক মাসের মধ্যে ভিজিল্যান্স কমিশনকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের থেকে।