কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে ইতিমধ্যে বেশ অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল। আর এরই মধ্যে নতুন একটি অভিযোগ উঠে আসছে। বয়স ‘ভাঁড়িয়ে’ চাকরির অভিযোগ। এই সংক্রান্ত খবর আগেই প্রকাশিত হয়েছিল টিভি নাইন বাংলায়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ওই অভিযোগে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তভার পেয়েছে ইডিও। কোথাও কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কিনা, তা খুঁজবে ইডি। এদিকে এসএসসির খাতায় অনেক দিনই রাত হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সাধারণ ক্যাটেগরির ক্ষেত্রে চাকরির জন্য আবেদনের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৪০ বছর। ওবিসি (এ) এবং ওবিসি (বি) ক্যাটেগরি হলে বয়সসীমা তিন বছর শিথিল হয়। তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত হলে বয়সসীমা শিথিল হয় পাঁচ বছর। বিশেষভাবে সক্ষমদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৮ বছর শিথিল করা হয়। ইন-সার্ভিস টিচার হলে সেই শিথিলতা আরও কিছুটা বাড়ে।
আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। তাঁদের দাবি, এক ব্যক্তির জন্ম ১৯৭০ সালে। হিসেব মতো ২০১৬ সালে ফর্ম ফিলাপ করার সময় বয়স ছিল ৪৬ বছর। তিনি ওবিসি (বি) ক্যাটেগরি ভুক্ত। সেই মতো আবেদন করার জন্য সর্বোচ্চ ৪৩ বছর বয়স পর্যন্ত সময় পাওয়ার কথা। অথচ, ২০১৬ সালে ৪৬ বছর বয়সে তিনিও আবেদন করতে পেরেছেন, ওয়েটিং লিস্টে নামও এসেছে। এমনই অভিযোগ উঠছে। আরও এক ওবিসি (বি) ক্যাটেগরি ভুক্ত ব্যক্তি, যাঁর জন্ম ১৯৭০ সালে, তিনিও আবেদন করতে পেরেছেন। এমন অভিযোগ আরও উঠে এসেছে। আর এক জনের জন্ম ১৯৭১ সালে। ২০১৬ সালে ফর্ম ফিলাপ করার সময় তাঁর বয়স ছিল ৪৫ বছর। তিনিও ওবিসি (বি) ক্যাটেগরি ভুক্ত। তাঁরও বয়সসীমা হওয়ার কথা ছিল ৪৩ বছর। অথচ তাঁর ক্ষেত্রেও বাধা হয়নি বাড়তি বয়স। তবে এই তিন ব্যক্তি যদি আগে থেকেই কর্মরত হন অর্থাৎ যদি ইন-সার্ভিস হন, তাহলে তাঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল জানাচ্ছেন, “আমি বিস্তারিত জানি না। তবে যেটুকু শুনছি, তাতে মনে হচ্ছে এভাবে আবেদন করতে পারা সম্ভব নয়। আবেদন করার শেষদিনের মধ্যে এই বয়সসীমা পূরণ হওয়া দরকার। যদি তা না হয়, তাহলে আবেদন গ্রহণ হয় না। বিশেষ ক্ষেত্রে হয় বলে আমার জানা নেই।” প্রসঙ্গত, এরা যদি আগে থেকেই কর্মরত বা ইন-সার্ভিস হন, তাহলে অবশ্য ক্লিনচিট পাবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা অভিযোগ তুলছেন, এরা প্রত্যেকেই ফ্রেশ ক্যান্ডিডেট অর্থাৎ ইন-সার্ভিস নন।