Allegation of Ragging: TMCP নেতাদের আশকারাতে বালিগঞ্জ সায়েন্সে র্যাগিং? ভয়ঙ্কর অভিযোগ পড়ুয়ার
Ragging: অভিযোগকারী ওই পড়ুয়ার দাবি, তাঁর সঙ্গেও র্যাগিং হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু লাভ হয়নি বলে অভিযোগ ওই পড়ুয়ার। তাঁর অভিযোগ, হস্টেলের কিছু আবাসিক ও বহিরাগতরা মিলে এই অত্যাচার চালায়।
কলকাতা: যাদবপুরের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিং-এর তত্ত্ব ক্রমেই জোরাল হচ্ছে। আর এসবের মধ্যেই রাজ্যের অন্যান্য় প্রান্ত থেকেও র্যাগিং-এর অভিযোগ উঠে আসতে শুরু করেছে। পাঁশকুড়ার এক কলেজ পড়ুয়া অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতার বিরুদ্ধে। অ্যান্টি র্যাগিং সেলে অভিযোগও জানিয়েছেন। আর এবার বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজেও র্যাগিং-এর অভিযোগ। এবারও কাঠগড়ায় সেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদই। কী কী ঘটে অভিযোগ রয়েছে সেখানে, তা এবার ফাঁস করলেন এক ভুক্তভোগী। অভিযোগকারী ওই পড়ুয়ার দাবি, তাঁর সঙ্গেও র্যাগিং হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু লাভ হয়নি বলে অভিযোগ ওই পড়ুয়ার। তাঁর অভিযোগ, হস্টেলের কিছু আবাসিক ও বহিরাগতরা মিলে এই অত্যাচার চালায়।
ওই পড়ুয়া বলছেন, তিনি যখন প্রথম ভর্তি হন, তখন তাঁকে দিয়ে মদ আনানো হত, মদের গ্লাস ধোয়ানো হত। ইন্ট্রোর নামে অনেক রাত পর্যন্ত আটকে রাখা হত। খোঁচা দেওয়া হত, যৌন প্রবৃত্তি নিয়েও। এসব ছিল করোনাকালের আগের কথা। করোনাকালের পর যখন তিনি আবার হস্টেলে ফিরে আসেন, তখনও পরিস্থিতি বিশেষ বদলায়নি। উল্টে অভিযোগ তোলার জন্য তিনি ‘টার্গেট’ হয়ে গিয়েছিলেন। বলছেন, ‘বহিরাগতরা আবাসিকদের মদ, গাঁজা, ড্রাগস সাপ্লাই দিত। সেই কারণে ওই বহিরাগতদের হস্টেলে থাকতে দেওয়া হত।’ গত ছ’মাসে আরও বেড়েছে অত্যাচার। অভিযোগ, ওই পড়ুয়ার হস্টেলের ঘরের বাইরে প্রস্রাব করে দেওয়া হত রাতে। দরজায় লাথালাথি, বাইরে থেকে দরজা তালাবন্ধ করে দেওয়া হত বলেও অভিযোগ। বলছেন, ‘মেসে আমার খাবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তিন মাস নিজেই রান্না করে খেয়েছি। পিউরিফায়ার থেকে পানীয় জলও নিতে দেওয়া হত না।’
ওই পড়ুয়ার অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের আশকারাতেই, তাঁদের প্রভাব খাটিয়ে এই অত্যাচার চালানো হত। সরাসরি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তীর নামও তুলেছেন ওই পড়ুয়া। বলছেন, ঘটনা যখন বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন অভিরূপ চক্রবর্তী তাঁকে ধমক দিয়েছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে টিভি নাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল টিএমসিপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তীর সঙ্গেও। তিনি অবশ্য এসব অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন। বলছেন, ‘ওই ছেলেটি দীর্ঘদিন ধরে মেস কমিটিতে টাকা দেয় না বলে শুনেছি। একটা সময়ে পরে, মেস কমিটি মেস চালাবে কীভাবে, যদি কেউ টাকা না দেয়!’ একইসঙ্গে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও অস্বীকার করছেন তিনি। বলছেন,’আমি কোনওদিন ওই হস্টেলের আবাসিক ছিলাম না। আর এটি যাদবপুরের হস্টেল নয়, এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল। এখানে সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। যদি ফুটেজ দেখা হয়, আমাকে গত দেড় বছরেও কোথাও হস্টেলের আশপাশে দেখা যাবে না।’
যে পড়ুয়া এই অভিযোগ করছেন, তিনি একজন এসএফআই সমর্থক বলে দাবি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতার। এই নিয়ে একটি ছবিও দেখান তিনি। টিএমসিপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের দাবি, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মাও-মাকুদের ঘুঘুর বাসা ভেঙে যাচ্ছে। তাই নজর ঘোরাতে এসব করছে।’