RG Kar Live Updates: রণক্ষেত্র RG-Kar! তার মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেলেন সেলিম

একসময় কলকাতাকে বলতাম সিটি অফ জয়, এখন বলব সিটি অফ ভয়: সেলিম

একদিকে যখন রণক্ষেত্র আরজি-কর হাসপাতাল চত্বর, পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের চলছে মারপিট, ধস্তাধস্তি। সেই চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার মধ্যেই আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছলেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সিপিএম নেতা বলেন, “কেন চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ করে মেয়েদের জন্য মেডিক্যাল কলেজে রেস্টরুম থাকবে না? সব জায়গায় থাকে। কেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ঢুকতে পারবে না? কেন জুনিয়র ডাক্তাররা ঢুকতে পারবে না? তারা এলেই গন্ডগোল করা হবে? প্রিন্সিপাল নিজে অপরাধী। তাঁকে সরাতে হবে। স্বাস্থ্য দফতর আজ ইলিশ উৎসব করছে? আমায় আসতে হল কেন? যখন ছাত্ররা বিক্ষোভ করছে তখন পুলিশ উল্টে তাদের ধরছে। ওই মেয়েটা আমার মেয়েটা আমার হতে পারত, আপনার হতে পারত। একসময় কলকাতাকে বলতাম সিটি অফ জয়, এখন বলব সিটি অফ ভয়।”

অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি RG Kar হাসপাতাল চত্বরে

চিকিৎসক খুনে উত্তপ্ত আরজি কর হাসপাতাল। বিক্ষোভকারী ছাত্রদের বেদম মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। টেনে হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের সরাচ্ছে পুলিশ। কারোও জামা ছিঁড়ছে, কাউকে টেনে তোলা হচ্ছে গাড়ি। প্রতিবাদীদের কার্যত কিল-ঘুষি-চড় থাপ্পাড় মারা হয়েছে। পাল্টা এক পুলিশ কর্মী দাবি করেছেন, তাঁকেও মারধর করেছে বিক্ষোভকারীরা।

১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

অভিযুক্তের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। ২৩ তারিখ অবধি হেফাজতে থাকছেন ওই ব্যক্তি।

চলছে প্রতিবাদ

কী বললেন নগরপাল?

• “যদিও ওদের কোনও দাবি থাকে, পরিবার চাইলে তারা অন্য কোনও এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করাতে পারে। আমাদের তরফে কোনও আপত্তি নেই। দোষী সর্বোচ্চ অপরাধী। আমরা দেখব যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি হয়।”
• “গতকাল (৯ অগস্ট) সাড়ে ১০টা নাগাদ টালা থানায় খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এবং হোমিসাইড পৌঁছয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সাক্ষী এবং বাবা মায়ের উপস্থিতিতে ইনকুয়েস্ট করা হয়। তারপর ময়না তদন্ত করা হয়, ভিডিয়োগ্রাফি করা করা হয়েছে। গতকাল রাতভর তদন্ত হয়েছে। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা একজনকে গ্রেফতারও করেছি। তদন্ত চলছে। যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনায় দুঃখিত।”
• পোস্ট মর্টেমের পর এসআইটি গঠন করা হয়। ডিসি ডিডি স্পেশাল নেতৃত্বে আছেন সেই এসআইটির। অ্যাডিশনাল সিপি সুপারভাইজ করছেন। সাতজনের মধ্যে টালা থানার অফিসারও আছেন, ডিডির অফিসারও আছেন বলে জানান সিপি। সিসিটিভি দেখা হয়েছে। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। সবরকম স্বচ্ছতা বজায় রেখেই তদন্ত এগোবে বলেও আশ্বস্ত করেন সিপি।
• অভিযুক্ত ,সিভিক ভলান্টিয়ার বলে অভিযোগ। সিপি বলেন, “আমাদের চোখে উনি একজন অপরাধী। যাই হোন তিনি একজন অপরাধী। ঘৃণ্য অপরাধে যুক্ত তিনি। সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।”

রাতে ঠিক কী ঘটেছিল?

আরজি করের সহকর্মীদের দাবি,  বৃহস্পতিবার রাতে আরও দুজন পিজিটি (স্নাতকোত্তর পড়ুয়া)-র সঙ্গে ডিউটি করছিলেন মহিলা জুনিয়র চিকিৎসক। রাত ২ টোয় ডিনার সারেন তাঁরা। আর ৩ টে নাগাদ বিশ্রাম নিতে যান। একটানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি চলে, তাই সেমিনার রুমেই বিশ্রাম নেন চিকিৎসকেরা। ওই মহিলা চিকিৎসক একাই ঢুকেছিলেন সেমিনার রুমে।

রাতে বাকি দুজনের সঙ্গে আর কথা হয়নি তাঁর। সকালে রাউন্ডের জন্য ডাকতে গেলে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়।

কী দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের?

১. অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।

২. বিচারবিভাগীয় স্বচ্ছ তদন্ত করতে হবে। ফাস্ট ট্র্যাক বিচারব্যবস্থা প্রয়োজন।

৩. যথাযথ ডিউটি রুম ও তার নিরাপত্তা থাকা প্রয়োজন।

৪. নিরাপত্তা রক্ষী থাকতে হবে, যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।

৫. পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে।

৬. আবাসিক হস্টেলে নিরাপত্তা দিতে হবে।

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কী উঠে এল?

১. শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে।

২. চোখ থেকে বেরিয়ে এসেছে রক্ত, যেটা স্বাভাবিক নয় বলেই মনে করছেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা। গোপনাঙ্গে পাওয়া গিয়েছে ‘ফ্লুইড’।

৩. প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট হচ্ছে হোমিসাইড শাখার আধিকারিকদের ইঙ্গিত। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ স্পষ্ট হচ্ছে।

৪. ঘটনাটি ঘটেছে রাত ৩টে থেকে ভোর ৬টার মধ্যে। ছাত্রীর গলার ডান দিকের একটা হাড় ভাঙা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সাধারণত গলায় হাত দিয়ে টিপে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করা হলে এরকমভাবে হাড় ভাঙার ঘটনা ঘটে।

কী বললেন মমতা?

• “ফাঁসির পক্ষে আমি নই। তবে কোনও কোনও ঘটনায় শিক্ষা দেওয়ার জন্য এরকম শাস্তি দরকার, যাতে আর কেউ করার সাহস না পায়।”
• “জুনিয়র ডাক্তারদের যা দাবি, তার সঙ্গে আমি একমত। তারা যা দাবি জানিয়েছে, পুলিশ তা মেনে নিয়েছে।”
• রাজ্য সরকারের প্রতি আস্থা না থাকলে, যে কোনও এজেন্সির কাছে তদন্তের জন্য যাওয়া যেতে পারে। সিবিআই তদন্তেও আপত্তি নেই মমতার।
• “হাসপাতালে সিসিটিভি আছে। বুঝতে পারছি না এত সাহস হল কী করে। যাকে ধরা হয়েছে, তার ওখানে যাতায়াত ছিল। যারা বিভিন্ন কাজে যাতায়াত করে তাদের মধ্য়েই কেউ করেছে।”

R G Kar কাণ্ডে পাঁচ বড় খবর

1. আরজি কর-কাণ্ডে উদ্বিগ্ন মমতা, ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠার পরই মৃত চিকিৎসকের মা-কে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর (পড়ুন)

2. ‘ডেডবডি নিয়ে চলে গেল, আমাদের মেয়েটাকে কোথায় নিয়ে চলে গেল’, অন্ধকার হতেই R G Kar থেকে ‘লুঠ’ হয়ে গেল মৃত মহিলা চিকিৎসকের দেহ, রণক্ষেত্র পরিস্থিতি (পড়ুন)

3. ‘ব্রুটালি মার্ডার’ করা হয়েছে মহিলা চিকিৎসককে, দেহ দেখে বেরিয়েই বললেন তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ (পড়ুন)

4. গোপানাঙ্গে ‘ফ্লুইড’, চোখ থেকে বেরিয়ে এসেছে রক্ত! ‘খুন’-এর আগে রাত ৩টে থেকে ৬টার মধ্যে কী হয়েছিল R G Kar-এর মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে? ভয়ঙ্কর তথ্য (পড়ুন)

5. যৌনাঙ্গের পাশে পড়ে চুলের ক্লিপ-অন্তর্বাস, নীল রঙের ম্যাট্রেসে রক্তের ছিটে, মাথার চুল ! RG Kar কাণ্ডে এবার সামনে এল প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান (পড়ুন)

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দেশপ্রিয় পার্ক মোর কিছুক্ষণের জন্য অবরোধ করলেন শিশুমঙ্গল এর চিকিৎসক থেকে চিকিৎসক পড়ুয়া

কর্মবিরতিতে একের পর এক হাসপাতাল

আরজি করের পাশে দাঁড়িয়ে জরুরি পরিষেবা ব্যতিরেকে কর্মবিরতি সিএন‌এমসি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এন‌আর‌এস, এস‌এসকেএম‌ও। AIIMS RDAর তরফে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে বিবৃতি দিয়ে। 

ফুঁসছে দিল্লিও

আর জি করের ঘটনায় বিবৃতি জারি করল দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠেছে।

শহরে মোমবাতি মিছিলে মহিলা চিকিৎসকেরা

শনিবার বিকাল ৪টে নাগাদ আরজিকর কাণ্ডে নিন্দা জানিয়ে মোমবাতি মিছিল সব মহিলা চিকিৎসকদের। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে শুরু করে আরজিকর পর্যন্ত এই মিছিল হবে।