‘ডেডবডি নিয়ে চলে গেল, আমাদের মেয়েটাকে কোথায় নিয়ে চলে গেল’, অন্ধকার হতেই R G Kar থেকে ‘লুঠ’ হয়ে গেল মৃত মহিলা চিকিৎসকের দেহ, রণক্ষেত্র পরিস্থিতি
R G kar: চিকিৎসক বলেন, "তদন্ত করতে কীসের ভয়? কেন বডি লুকিয়ে লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে? কোথায় দাঁড়িয়ে বলবেন সুষ্ঠভাবে তদন্ত হবে, তার বদলে দেহ লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে? এখানে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সকাল থেকে পরিকল্পনা চলছে।"
কলকাতা: চিকিৎসকের মৃত্যুতে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি আরজি কর হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের পর পুলিশ দেহ বার করে নিয়ে যাওয়ার সময়েই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন করেন, ময়নাতদন্তের পর কেন দেহ পরিবারের হাতে দেওয়া হচ্ছে না? কেন দেহ ‘লুঠ’ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভকারী চিকিৎসকদের। চরম উত্তেজনার মুহূর্ত তৈরি হয়। পুলিশ নিরাপত্তার দিয়ে মৃত চিকিৎসকের মাকেও নিয়ে যায়।
মেয়ের দেহ কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেটা স্পষ্ট নয়, চিকিৎসকের বাবার কাছেও। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। বলেন, “ডেডবডিটা নিয়ে চলে গেল, আমার মেয়েটাকে কোথায় নিয়ে চলে গেল, জানি না।” বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি। প্রথম থেকেই পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল তোলেন। অভিযোগ, প্রথমে বলা হয়েছিল তাঁদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। পরে তাঁরা যখন দেখতে আসেন, তাঁদেরকে মেয়ের দেহ দেখতে পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ।
বিক্ষোভকারী চিকিৎসক বলেন, “বডি লুঠ করে নিয়ে গেল। ময়নাতদন্তের পর দেহ বাবা-মায়ের হাত দেওয়া হোক। কেন বডি রাতের অন্ধকারে লুঠ করা হচ্ছে?” বিক্ষোভকারী আরেক চিকিৎসক বলেন, “তদন্ত করতে কীসের ভয়? কেন বডি লুকিয়ে লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে? কোথায় দাঁড়িয়ে বলবেন সুষ্ঠভাবে তদন্ত হবে, তার বদলে দেহ লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে? এখানে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সকাল থেকে পরিকল্পনা চলছে।”
বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেই রীতিমতো পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে ওই ছাত্রীর দেহ বার করে নিয়ে যায়। বামনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, “যে মেয়েটির ডেডবডি যে হাসপাতালে পাওয়া গেল, সেই মেয়েটির ময়নাতদন্ত সেই কর্তৃপক্ষ কীভাবে করে? খুন হবে আমারই আয়ত্তে, আর আমিই ঠিক করে দেব ময়নাতদন্তের রিপোর্ট?” এই মুহূর্তে আরজি কর হাসপাতালের পরিস্থিতি উত্তপ্ত।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)