ED: ইডির হাতে নতুন মামলা এবার, আরও বড় কেলেঙ্কারি সামনে আসতে চলেছে?

সিজার মণ্ডল | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 10, 2023 | 7:09 PM

ED: কৃষকদের ঠকিয়ে ধান কেনার অভিযোগ উঠেছিল কয়েক বছর আগে। চাষিদের কাছ থেকে সরকার ধান কিনলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়ার কথা। অভিযোগ, সেখানেই একটা দুর্নীতি হয়। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ভবানীপুর থানা ও বালিগঞ্জ থানায় মামলা হয়। এই দু'টি মামলাই এবার ইডি হাতে নিয়েছে। ইডি এবার পৃথক এফআইআর বা ইসিআর করে তদন্ত শুরু করল।

ED: ইডির হাতে নতুন মামলা এবার, আরও বড় কেলেঙ্কারি সামনে আসতে চলেছে?
ইডির হাতে নতুন মামলা।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: ধান বিক্রি করে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যটুকুও কৃষকরা পাননি বলে অভিযোগ। ২০১৮ সালে সেই অভিযোগ কলকাতা পুলিশের কাছে জানানো হয়। কিন্তু কোনও অজানা কারণে তার তদন্ত এগোয়নি বলেই মনে করছে ইডি। এবার ধান কেনা নিয়ে মামলার তদন্ত নিজেদের হাতে নিল ইডি। আর ইডি এ মামলা হাতে নিতেই নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিরোধীরা বলছে, এ ঘটনা নতুন নয়। প্রশাসন কঠোর হাতে দমন না করায় এমন বাড়বাড়ন্ত।

কৃষকদের ঠকিয়ে ধান কেনার অভিযোগ উঠেছিল কয়েক বছর আগে। চাষিদের কাছ থেকে সরকার ধান কিনলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়ার কথা। অভিযোগ, সেখানেই একটা দুর্নীতি হয়। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ভবানীপুর থানা ও বালিগঞ্জ থানায় মামলা হয়। এই দু’টি মামলাই এবার ইডি হাতে নিয়েছে। ইডি এবার পৃথক এফআইআর বা ইসিআর করে তদন্ত শুরু করল।

বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ইদানিংকালে কোনও চাষি বাংলায় ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পেরেছেন? এলাকায় ফড়ে, দালাল পৌঁছে যায়। বাধ্য হচ্ছে চাষিরা কম দামে ফসল বিক্রি করতে। আর সেই দাম নিয়ে মাঝখান থেকে একটা চক্র ৩০০ টাকা করে লাভ নিয়ে চলে যাচ্ছে। মার খাচ্ছেন প্রান্তিক কৃষকরা।” অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, “সবেতেই লুঠ হয়েছে। জনসমক্ষে লুঠ হয়েছে, জ্ঞাতসারে লুঠ হয়েছে।”

স্বপন সাঁতরার অভিযোগ, “বসে বসে সব অ্যাকাউন্ট করেছিল। সেখানে টাকা ঢোকাত। অন্য ধানও আমাদের অ্যাকাউন্টে বিক্রি করত। আমাকে বলেছিল এরজন্য আমাকে ৫ হাজার টাকা করে দেবে। এরপর ৪০০-৫০০ টাকা করে দিয়েছে।”

Next Article