TMC Inner Clash: দলের ধরনামঞ্চে বাবুলের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ, মন্ত্রীকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তৃণমূল কর্মীদের

Sayanta Bhattacharya | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 06, 2023 | 11:23 PM

Gariahat: রবিবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে অবস্থান কর্মসূচী নিয়েছিল তৃণমূল। গড়িয়াহাট মোড়ে সেই ধরনা মঞ্চেই ঝামেলা চরমে ওঠে। এলাকার বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ান বলে অভিযোগ।

TMC Inner Clash: দলের ধরনামঞ্চে বাবুলের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ, মন্ত্রীকে গো ব্যাক স্লোগান তৃণমূল কর্মীদের
মঞ্চে বসে আছেন সুদর্শনা, মাইক হাতে দাঁড়িয়ে বাবুল সুপ্রিয়।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: নিজের এলাকাতেই ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হল বালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়কে। গড়িয়াহাটের মোড়ে তৃণমূলের ধরনা মঞ্চে বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন স্থানীয় ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুর্দশনা মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীরা। জুতো পরে মঞ্চে উঠে পড়া, বিধায়ক এসেছেন বলে সকলকে উঠে দাঁড়াতে বলার মতো অভিযোগও উঠেছে বাবুলের বিরুদ্ধে। তাঁর খারাপ ব্যবহারে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কাউন্সিলর অনুগামীরা। এরপরই শুরু হয় বচসা। মঞ্চে বসে সুদর্শনা, মাইক হাতে মঞ্চে তখন দাঁড়িয়ে বাবুল।

বালিগঞ্জের বিধায়ক বনাম কাউন্সিলরের দ্বন্দ্বের অভিযোগ নতুন নয়। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। আর সেই ভোটে জিতে বিধায়ক হন বাবুল সুপ্রিয়। এরপর বিজয়া সম্মিলনী থেকে জগদ্ধাত্রী পুজো, বারবার সুদর্শনার অনুগামীদের সঙ্গে বাবুলের দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। দলের লোকজনের সঙ্গে বাবুল খারাপ ব্যবহার করেন বলেই বারবার অভিযোগ সুদর্শনার অনুগামীদের।

রবিবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে অবস্থান কর্মসূচী নিয়েছিল তৃণমূল। গড়িয়াহাট মোড়ে সেই ধরনা মঞ্চেই ঝামেলা চরমে ওঠে। এলাকার বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ান বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে অশান্তি চরমে ওঠে। অভিযোগ, দলের লোকজনের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন বাবুল। এমনকী জুতো পরে ধরনা মঞ্চে উঠে পড়েন বিধায়ক। এ নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত।

বাবুল সুপ্রিয়র বক্তব্য, “পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এসব ঘটানো হয়েছে। আমি আমার ডিগনিটি অনুযায়ী কোথায় কী করতে হয় জানি। দলকে আমি জানিয়েছি। সবটাই ভিডিয়ো রেকর্ড করা আছে। মিডিয়ার কভারেজ পাওয়ার জন্য অনেকরকমের কথাবার্তাই মানুষকে দিয়ে বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দিদির নির্দেশে যে কর্মসূচি তার গুরুত্ব নষ্ট করতে কেউ যদি পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে কিছু করে, যা দল ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। আমি জানি এরকম হবে। তাই রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে জানিয়েওছিলাম সব এলাকাতেই যাব। তাই গিয়েছি। কীসব জুতোর কথা শুনছি, সেই অভিযোগ অন্য জায়গা থেকে আসছে না কেন? দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে শুনছি। আমার পরিকল্পনা ছিল সকলকে দাঁড় করিয়ে একসঙ্গে জনগণমন করাব। একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়। তাই করাতে চেয়েছিলাম। আর কোনও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এলে, যার এলাকায় গিয়েছি স্বাভাবিকভাবেই সে উঠে দাঁড়ায়। আমি দেখেছি। ধরনা মঞ্চে বাবু হয়ে বসে থাকাটা একটা জিনিস। চেয়ারে বসে থাকাটা অন্য জিনিস।”

যদিও এ নিয়ে সুদর্শনা মুখোপাধ্যায় বলেন, কী হয়েছে তা গোটা গড়িয়াহাটের মানুষ দেখেছেন। সুদর্শনার কথায়, “অসংখ্য মানুষ ছিলেন। সকলে তার সাক্ষী। বাকি যা বলার দল বলবে। ওঁর ব্যবহার উনি সকলের সামনেই করেছেন। সকলে দেখেছেন। ওঁর আচরণের সাক্ষী গোটা গড়িয়াহাট। আমরা তো শান্তিপূর্ণভাবেই অবস্থানে বসেছিলাম।”

Next Article