কলকাতা : রাজ্য সরকারের ঋণের সুযোগ বাড়ানোর জন্য এবার সংশোধন এল আইনে। মঙ্গলবার বিধানসভায় পাস হল আর্থিক শৃঙ্খলা ও বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সংশোধনী বিল। এই বিল অনুযায়ী, রাজ্যের মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের চার শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে রাজ্য সরকার। রাজ্যের ঋণ বাড়তে বাড়তে ৫ লক্ষ কোটিতে পৌঁছেছে। এবার সেই সংশোধনী বিল আসায় ঋণের ভার আরও বাড়ে বলেই দাবি বিরোধীদের।
পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ ও কেন্দ্রীয় সরকারের একটি অনুমোদনের পরই এই ঋণের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। বিরোধীদের দাবি, এই বিলের ফলে আরও আর্থিক বিশৃঙ্খলার দিকে এগোবে রাজ্য সরকার, কারণ, ঋণের ভারে আগে থেকেই জর্জরিত রাজ্য সরকার।
নয়া সংশোধনী বিলটি হল, ‛দ্য ওয়েস্টবেঙ্গল ফিসক্যাল রেস্পন্সিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট (দ্বিতীয় সংশোধনী) বিল ২০২২’। মঙ্গলবার বিধানসভায় এই বিল নিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টার আলোচনার পর পাশ হয় সেই বিল। এই সংশোধনী বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৪ শতাংশ হবে ঋণের অনুপাত। এই পরিমাণ ঋণ নেওয়ার জন্য এফআরবিএম আইনে বদল আনা হল। যদিও, তা ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্যই করা হল বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, অর্থ কমিশনের সুপারিশ আগেই ছিল তবে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। ঋণের অনুপাত ৪ শতাংশ করার জন্যই এই বিল আনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বিজেপির অভিযোগ, আগেও ঋণ নিয়ে বিপুল খরচ করেছে রাজ্য সরকার, কোনও গঠনমূলক কাজ হয়নি। আর এবার বাড়তি ঋণ নিয়ে সেই পথেই হাঁটতে পারে রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারের ঋণের পরিমাণ বর্তমানে ৫ লক্ষ কোটি টাকা। ঋণ নিয়েও গঠনমূলক কোনও কাজ বাংলায় হয়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এবারও ঋণ নিয়ে রাজ্য সরকার একই কাজ করবে বলে আশঙ্কা বিরোধীদের। তাঁদের মতে, বিলের মাধ্যমে হয়তো ঋণের আইনি সংস্থান পাওয়া যায়। কিন্তু, দেদার খরচ করলে আর্থিক অনটন ঠেকানো যায় না।