কলকাতা: সরস্বতী পূজোর রাতে দুই ক্লাবের সংঘর্ষ। শনিবার চরম উত্তেজনা ছড়াল ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি চত্বরে। এলাকায় দুষ্কৃতী দলের তাণ্ডব। ক্লাবেরই চার সদস্যকে এলোপাথাড়ি মারা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্তদের চোট গুরুতর। তাঁরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তদের গ্রেফতার দাবিতে রাতেই হয় থানা ঘেরাও। শনিবার ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত থাকে ঠনঠনিয়া চত্বর। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ পিকেট। তবে রবিবার সকাল পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি চত্বরে সরস্বতী পুজো আয়োজন করা হয়েছিল। দিনভর সেখানকার পরিস্থিতিতে কোনও অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি বলে দাবি স্থানীয়দের। শনিবার মাঝরাতে পূজার মন্ডপের সামনে বসেছিলেন ঠনঠনিয়ার বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের কয়েকজন সদস্য।
অভিযোগ, সেই সময় আচমকাই তাঁদের ওপর চড়াও হন পার্শ্ববর্তী একটি ক্লাবের বেশ কয়েক জন সদস্য। অভিযোগ, তাঁরা প্রত্যেকেই প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের অনুগামী। প্রায় ৪০-৫০ জনের একটি দল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে ক্লাব সদস্য ছাড়াও বহিরাগতরাও ছিলেন বলে দাবি আক্রান্তদের। এরপর বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের ৪ সদস্যকে রাস্তায় ফেলে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বেপরোয়াভাবে চলতে থাকে কিল-চড়-ঘুষি। রাস্তায় ফেলে পেটে লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ।
পরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা চলে এলে, অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা ঢাকায় মোতায়েন বিশাল বাহিনী।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “যখন হামলা হয়, এলাকায় লোক খুব কম ছিল। চার জনকে রাস্তায় ফেলে বাজেভাবে মেরেছে ওরা। আগে থেকেই হয়তো কোনও ঝামেলা ছিল।”
কী কারণে হামলা? প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, দুটি ক্লাবের মধ্যে পুরানো আক্রোশের জেরেই এই হামলা। যাঁরা আক্রান্ত তাঁদের সঙ্গে ঠিক কী কারণে শত্রুতা, নাকি এলাকা দখলের লড়াই, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আক্রান্ত ও অভিযুক্তরা আদৌ কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য কিনা, তাও জানার চেষ্টা চলছে। চিকিৎসকরা বলছেন, আহতদের আঘাত গুরুতর।
পুলিশ আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে। রাতেই ঘটনার প্রতিবাদে বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্যরা আমর্হাস্ট স্ট্রিট থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বেশ কিছুক্ষণ এলাকায় থাকে উত্তেজনা। পরে পুলিশ গিয়ে উত্তেজনা প্রশমিত করে। তবে সকাল থেকে এলাকা থমথমে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি থানায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমর্হাস্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যদিও মূল অভিযুক্ত প্রিয়াঙ্কু পান্ডেকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার এলাকাবাসী।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
কলকাতা: সরস্বতী পূজোর রাতে দুই ক্লাবের সংঘর্ষ। শনিবার চরম উত্তেজনা ছড়াল ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি চত্বরে। এলাকায় দুষ্কৃতী দলের তাণ্ডব। ক্লাবেরই চার সদস্যকে এলোপাথাড়ি মারা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্তদের চোট গুরুতর। তাঁরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তদের গ্রেফতার দাবিতে রাতেই হয় থানা ঘেরাও। শনিবার ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত থাকে ঠনঠনিয়া চত্বর। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ পিকেট। তবে রবিবার সকাল পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি চত্বরে সরস্বতী পুজো আয়োজন করা হয়েছিল। দিনভর সেখানকার পরিস্থিতিতে কোনও অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি বলে দাবি স্থানীয়দের। শনিবার মাঝরাতে পূজার মন্ডপের সামনে বসেছিলেন ঠনঠনিয়ার বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের কয়েকজন সদস্য।
অভিযোগ, সেই সময় আচমকাই তাঁদের ওপর চড়াও হন পার্শ্ববর্তী একটি ক্লাবের বেশ কয়েক জন সদস্য। অভিযোগ, তাঁরা প্রত্যেকেই প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডের অনুগামী। প্রায় ৪০-৫০ জনের একটি দল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে ক্লাব সদস্য ছাড়াও বহিরাগতরাও ছিলেন বলে দাবি আক্রান্তদের। এরপর বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের ৪ সদস্যকে রাস্তায় ফেলে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বেপরোয়াভাবে চলতে থাকে কিল-চড়-ঘুষি। রাস্তায় ফেলে পেটে লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ।
পরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা চলে এলে, অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা ঢাকায় মোতায়েন বিশাল বাহিনী।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “যখন হামলা হয়, এলাকায় লোক খুব কম ছিল। চার জনকে রাস্তায় ফেলে বাজেভাবে মেরেছে ওরা। আগে থেকেই হয়তো কোনও ঝামেলা ছিল।”
কী কারণে হামলা? প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, দুটি ক্লাবের মধ্যে পুরানো আক্রোশের জেরেই এই হামলা। যাঁরা আক্রান্ত তাঁদের সঙ্গে ঠিক কী কারণে শত্রুতা, নাকি এলাকা দখলের লড়াই, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আক্রান্ত ও অভিযুক্তরা আদৌ কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য কিনা, তাও জানার চেষ্টা চলছে। চিকিৎসকরা বলছেন, আহতদের আঘাত গুরুতর।
পুলিশ আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে। রাতেই ঘটনার প্রতিবাদে বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্যরা আমর্হাস্ট স্ট্রিট থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বেশ কিছুক্ষণ এলাকায় থাকে উত্তেজনা। পরে পুলিশ গিয়ে উত্তেজনা প্রশমিত করে। তবে সকাল থেকে এলাকা থমথমে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি থানায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আমর্হাস্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যদিও মূল অভিযুক্ত প্রিয়াঙ্কু পান্ডেকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার এলাকাবাসী।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা