কলকাতা: বাংলায় এসে ফের সিএএ নিয়ে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। আবারও তিনি জানালেন, সিএএ হবেই। কেউ রুখতে পারবে না। প্রত্যেকে নাগরিকত্ব পাবে। শরণার্থীদের নাগরিকত্ব নিয়ে বারংবার ভুল বোঝানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন শাহ। আর শাহ-র বার্তার পরই সিএএ নিয়ে আসরে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।
বড়দিনের রাতে কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দু-দিনের সফরে কলকাতা এসেছিলেন শাহ এবং বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এখানে দলীয় নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সারেন তাঁরা। গতকাল অমিত শাহ এ কথা-ও কথায় প্রসঙ্গ তোলেন সিএএ-র। তিনি বলেন, “দিদি প্রায়ই আমাদের উদ্বাস্তু ভাইদের সিএএ নিয়ে বিভ্রান্ত করেন। আমি এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই সিএএ হল দেশের আইন। এবং এর বাস্তবায়ন কেউ আটকাতে পারবে না। প্রত্যেকে নাগরিকত্ব পাবেন।” অপরদিকে, সুকান্ত মজুমদারও সেই একই কথা পুনরায় বললেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে। বললেন, “সিএএ ভারতের সংবিধান সম্মত আইন। যা ভারতের লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে। এটা আইন। সিএএ লাগু হবে। এবং আমার বিশ্বাস খুব তাড়াতাড়ি লাগু হবে।”
প্রসঙ্গত, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতেই রাজ্যে হাজির হয়েছিলেন শাহ এবং নাড্ডা। এর আগেও তাঁরা বলেছেন সিএএ খুব তাড়াতাড়ি লাগু হবে। কিন্তু কবে তা নিদির্ষ্ট করে বলেননি। অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর প্রথম থেকে বিরোধিতা করে এসেছেন সিএএ-র। তাঁর বক্তব্য ছিল, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯-এর নামে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। ‘ক্যা ক্যা ছি ছি’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পরই উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছিল বিজেপি সরকার। ২০১৯ সালে মোদী দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর সংসদের দু’কক্ষে পাশ হয়েছিল নাগরিক সংশোধনী বিল। সংসদের দু’কক্ষে (রাজ্যসভা ও লোকসভা) এই বিল পাশ হয়েছে ঠিকই, তবে চারবছর পরও রুল তৈরি না হওয়ায় উদ্বাস্তু সমাজের একাংশের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। এই নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের বড় অংশও ক্ষোভও উগরে দিয়েছে। এবং তাদের শান্ত করতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বারবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বেশ কয়েক বার কথা বলেছেন। এবার সামনেই লোকসভা ভোট। আর সিএএ-কে হাতিয়ার করে আবারও ময়দানে নেমেছে বিজেপি।