কলকাতা: সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দায়িত্ব নিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। শনিবার থেকেই নিরাপত্তায় থাকছে তারা। সঙ্গে থাকবে কলকাতা পুলিশও। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের পুজো হিসাবেই এখন এই পুজোর মান্যতা। তবে লেবুতলা পার্ক বা সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, যে নামেই এ পুজোকে ডাকা হোক না কেন, এখনও এলাকার লোকজনের কাছে তা প্রদীপ ঘোষের পুজো। সজল ঘোষের বাবা তিনি। এবার এই পুজোর উদ্বোধন করছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বভাবতই পুজোর নিরাপত্তার দিকেও এবার কড়াকড়ি।
অমিত শাহ আসছেন। তাঁর জন্য আলাদা মঞ্চ করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের জন্য থাকছে আলাদা জায়গা। তবে ভিতরের খবর দেবে পুজো কমিটিই। অমিত শাহ পুজো মণ্ডপে প্রবেশের সময় ফুল দিয়ে অভ্যর্থনার পরিকল্পনা রাখছে পুজো কমিটি। তবে তা নিয়ে এখনও কেন্দ্রীয় এজেন্সির অনুমোদন পাওয়া যায়নি। শনিবার পুজো মণ্ডপ, পুজোর মাঠ, এলাকা ঘুরে দেখে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
অমিত শাহের সূচী প্রসঙ্গে সজল ঘোষ বলেন, “উনি এখানে এসে গাড়ি থেকে নেমে ডায়াসে উঠবেন। ওনাকে সংবর্ধনা দেবো আমরা। উনি ভাষণ দেবেন। তারপরই উনি মণ্ডপে প্রবেশ করবেন। প্রতিমার আবরণ উন্মোচন হবে। সেখান থেকে মঞ্চে উঠে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। সমস্ত অনুষ্ঠানের ফিড আমরাই দেবো।”
অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের আগেই কলকাতায় রামমন্দির। তাও আবার দেবী দুর্গার অকাল বোধনে। রামচন্দ্র যে পুজো করেছিলেন। নিঃসন্দেহে এই পুজো ঘিরে এই মুহূর্তে রাজ্যবাসীর উন্মাদনা তুঙ্গে। শনিবার মহালয়া থেকেই মণ্ডপের সামনে ভিড়। যতটুকু চাক্ষুষ করা যায় করে নিচ্ছেন দর্শকরা। শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে এই পুজো। ফি বছর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো ঘিরে দর্শকের উন্মাদনা তুঙ্গে থাকে। এবার রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হবে বলেই আত্মবিশ্বাসী পুজো উদ্যোক্তারা।