কলকাতা: নাতিকে মেরে মেলেছে। তারপরেই গোরবা কবরস্থান থেকে শিশুটির দেহ তুলে ময়নাতদন্ত করে পুলিশ। এরপর শনিবার রাতে তিলজলা থেকে বিজয় বড়াল নামে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির পরে চলে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। তাতেই ছেলেকে খুনের কথা স্বীকার করেছে শিশুটির বাবা।
সূত্রের খবর, স্বীকারোক্তিতে বিজয় জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বাড়িতে বসে মদ্যপান করছিলেন তিনি। সেই সময় ছেলে বাথরুমে যেতে না চাওয়া নিয়ে জেদ ধরে। তখনই ছেলেকে তিনি সজোরে থাপ্পড় মারেন। তাতেই সংজ্ঞা হারায় শিশুটি। এরপরে ঠান্ডা মাথায় নিজের ছেলেরই দেহ কবর দেয় বিজয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে, গত ৬ নভেম্বর আনন্দপুর থানা এলাকায় শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। এর ঠিক একদিন পর শিশুটির দিদিমা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। প্রথমে শিশুটির বাবা-মা দাবি করতে থাকেন, তাঁদের সন্তানের বাথরুমে বালতির জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু শিশুটির দিদা থানায় অভিযোগ দায়ের করতেই ঘুরে যায় ঘটনার মোড়। শিশুটির দিদা থানায় ফোন করে তাঁর সন্দেহের কথা জানান। তিনি দাবি করেন, নিছক বালতির জলে পড়ে শিশুটির মৃত্যু হয়নি। অন্য কোনও রহস্য হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার রাতে শিশুটির বাবা বাড়িতে ছিলেন। মা কাজে গিয়েছিলেন। বাড়িতে বাচ্চাটা তার বাবার কাছে ছিল। সেই কারণেই কিছু একটা বিষয় নিয়ে সন্ধিহান হয়ে পড়েন দিদিমা। খুনের মামলা রুজু হওয়ার পর শিশুটির দেহ কবর থেকে তুলে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার তোপসিয়ার সমাধিক্ষেত্রে থেকে মাটি খুঁড়ে বার করা হয় শিশুটির দেহ। এনআরএস হাসপাতালে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। রিপোর্ট আসার পর পুলিশ অন্যভাবে তদন্ত শুরু করে। এরপর বাবাকে চেপে ধরতেই ফাঁস হয় পর্দা।