ICDS Worker: অবরুদ্ধ ধর্মতলা, কয়েকশো অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বিক্ষোভে রাজপথে
ICDS: আইসিডিএস কর্মীরা, যাঁরা বিভিন্ন স্কুলে সহায়িকা হিসাবে কাজ করেন, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসাবে কাজ করেন তাঁদের চাকরি স্থায়ী করতে হবে। প্রফিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটির সুবিধা দিতে হবে তাঁদের। সরকারি কর্মীরা যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পান, সেই সমস্ত কিছুরই দাবি তুলেছেন আইসিডিএস কর্মীরা।
কলকাতা: আইসিডিএস কর্মীদের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ ধর্মতলা। স্থায়ীকরণ, বেতনবৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিকে সামনে রেখে বুধবার ধর্মতলায় অবস্থানে বসেছেন আইসিডিএস কর্মীরা। এদিকে অফিসব্যস্ততার দিন এভাবে ধর্মতলার পথ অবরুদ্ধ হওয়ায় বিপাকে সাধারণ মানুষ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আইসিডিএস কর্মীরা এদিন শহর কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় অবস্থানে বসেন। ডরিনা ক্রসিংয়ে রাস্তার উপর বসে পড়েন তাঁরা।
আইসিডিএস কর্মীরা, যাঁরা বিভিন্ন স্কুলে সহায়িকা হিসাবে কাজ করেন, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসাবে কাজ করেন তাঁদের চাকরি স্থায়ী করতে হবে। প্রফিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটির সুবিধা দিতে হবে তাঁদের। সরকারি কর্মীরা যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পান, সেই সমস্ত কিছুরই দাবি তুলেছেন আইসিডিএস কর্মীরা।
ডিসি সেন্ট্রাল থেকে শুরু করে লালবাজারেরে পুলিশ আধিকারিকরা এসে পৌঁছন ঘটনাস্থলে। যেহেতু ডরিনা ক্রসিংয়ের চারদিকে আইসিডিএস কর্মীরা বসে, ফলে একেবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ধর্মতলা। আন্দোলনকারীদের দাবি, কেন্দ্র বলছে তারা কোনও টাকা বাকি রাখে না। এদিকে রাজ্য বলছে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। দুই সরকারের রাজনৈতিক টানাপোড়েনে আসলে ভুগতে হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ির সহযোগীদের।
আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, যদি কেন্দ্র টাকা দিতে না পারে অন্যান্য রাজ্যগুলিতে চলছে কী করে? তাঁদের দাবি, এক একটা রাজ্যে ১২ হাজার থেকে ১৯ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতনভাতা কী করে দেয়? আন্দোলনকারীরা জানান, রাস্তা আটকে থাকায় মানুষের সমস্যা হচ্ছে ঠিকই। তবে তাঁরাও বাধ্য হয়েই পথে বসেছেন। মন্ত্রীর আশ্বাস না পেলে এখানেই থাকবেন বলেও জানান। পুলিশ লাঠি দিয়ে মেরে তুলে দিলেও সরবেন না বলে জানান।
স্কিম ওয়ার্কার্স ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার সাধারণ সম্পাদক ইসমত আরা খাতুন, “অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর সহায়িকাদের সরকারি কর্মীর স্বীকৃতি দিতে হবে। পোষণ ট্র্য়াকারের যাবতীয় কাজের জন্য প্রত্য়েক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নামে অ্যান্ড্রয়েড সেট, সিম কার্ড, বাজার দর অনুযায়ী ১২ মাসের রিচার্জ করিয়ে দিতে হবে। সেন্টারগুলি কর্মীহীন অবস্থায় পড়ে আছে। যারা তাদের কাজ করে দিচ্ছে, তাদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। অবসরকালীন ভাতা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করতে হবে।”